গুয়ার্দিওলার বিপক্ষে খেলা সবসময় কঠিন: টুখেল

টানা দ্বিতীয়বার কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার উচ্ছ্বাস আছে। তৃপ্তি আছে সবশেষ দুই দেখায় পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিকে হারানোরও। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের আগে ভীষণ সতর্ক চেলসির কোচ টমাস টুখেল। এবারও প্রতিপক্ষ গুয়ার্দিওলার সিটি বলেই সবকিছু শূন্য থেকে শুরু করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2021, 12:21 PM
Updated : 25 May 2021, 12:21 PM

পর্তুগালের পোর্তোয় আগামী ২৯ মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হবে সিটি ও চেলসি। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরার আসরের ফাইনালে উঠলেন টুখেল। গতবার উঠেছিলেন পিএসজি কোচ হিসেবে। আর গুয়ার্দিওলার হাত ধরে এবারই প্রথম ফাইনালের মঞ্চে উঠেছে সিটি।

এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে সিটির বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের পর প্রিমিয়ার লিগেও ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল চেলসি। তবে লিগ শিরোপা জেতা সিটিকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না টুখেল।

“চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হয়ত আমরা সিটির একই দলের বিপক্ষে খেলব না। কিন্তু আমি চেলসির দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদেরকে দুইবার হারিয়েছি। (যদি প্রশ্ন করেন) এটা বড় কোনো সুবিধা কিনা? তাহলে বলব, অবশ্যই না। আমরা খুব ভালো করেই জানি, ফাইনাল ম্যাচটা শুরু হবে তুলির প্রথম আচঁড় থেকে।”

“গুয়ার্দিওলাও এখনও জানে না আমাদের কোন দলটার বিপক্ষে খেলবে। একই বিষয় আমাদের ক্ষেত্রেও। কিন্তু আমরা খুব ভালো করেই জানি শূন্য থেকে শুরু করতে হবে এবং আমাদের আরেকবার শীর্ষ পর্যায়ের পারফরম্যান্স করতে হবে।”

গুয়ার্দিওলার কৌশল নিয়ে মুগ্ধতার কথা আগেও বলেছেন টুখেল। একই কথা আবারও বললেন; আরও বেশি সমীহের সুরে।

“সবসময়ই গুয়ার্দিওলার দলের বিপক্ষে খেলা কঠিন। সে যখন বায়ার্ন মিউনিখের কোচ ছিল, তখন তার বিপক্ষে খেলেছি। এখন খেলছি তার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে।”

“সে যখন বার্সেলোনার কোচ ছিল, তখন বার্সেলোনার ম্যাচ দেখতাম তার ও তার দলের কাছ থেকে ফুটবল সম্পর্কে শেখার জন্য। বছরের পর বছর ধরে কীভাবে আক্রমণ ও রক্ষণ সামলানোর পরিকল্পনা করা যায়, এগুলো শেখার জন্য। সেখানে তিনি ‘সব জেতার মেশিন’ তৈরি করেছিলেন এবং এখন ইংল্যান্ডেও তাই তৈরি করেছেন।”

গত মৌসুম এবং এ মৌসুমের হিসাবে ম্যানচেস্টার সিটি ও বায়ার্ন মিউনিখকে ইউরোপের দলগুলোর মধ্যে ‘মাইলফলক’ মনে করেন টুখেল। তবে শেষ কথায় এই জার্মান কোচ জানিয়ে দিলেন নিজের চাওয়াটা।

“আমরা দুরত্ব কমানোর চেষ্টা করছি এবং ভালো বিষয় হচ্ছে, ফুটবলে ৯০ মিনিটের মধ্যে দুরত্ব ঘোচানো যায়। এটা খুবই সম্ভব এবং ফাইনালে এটা করাই আমাদের লক্ষ্য।”