২০১৫-১৬ থেকে চার মৌসুম রিয়ালের খেলোয়াড় ছিলেন কোভাচিচ, যদিও এর শেষ মৌসুমে ধারে চেলসিতে খেলেছিলেন তিনি। তবে তার আগেই স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের অনন্য স্বাদ পান কোভাচিচ।
রিয়ালে অবশ্য কখনোই শুরুর একাদশে জায়গা পাকা করতে পারেননি তিনি। ২০১৫-১৬ আসরে মিলানের ফাইনালে চোটের কারণে বাইরে ছিলেন আর পরের দুই আসরে ফাইনালের পুরোটা সময় ছিলেন বেঞ্চে বসে।
পোর্তোয় আগামী শনিবারের শিরোপা লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে চেলসি। এই ম্যাচ দিয়েই পুরনো হতাশা দূর করতে চান কোভাচিচ।
“রিয়াল মাদ্রিদে ওই তিন (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জয়ে আমি আমার অংশের দায়িত্বটুকু পালন করেছি। খুব বড় কিছু নয়, হয়তো এখানকার মতো নয়। তিন বছর মাদ্রিদে ছিলাম এবং দুর্ভাগ্যবশত কোনো ফাইনালেই আমি খেলিনি।”
চেলসিতে এক মৌসুম ধারে খেলার পর ২০১৯ সালের জুলাইয়ে পাকাপাকিভাবে ক্লাবটিতে নাম লেখান কোভাচিচ। গত মৌসুমে দলের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন তিনি। এবারের প্রিমিয়ার লিগের শেষ রাউন্ডে গত রোববার অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ২-১ গোলে হারের ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন ২৭ বছর বয়সী খেলোয়াড়।
পোর্তোয় কোভাচিচের চাওয়া পূরণ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা অবশ্য নেই। চোট কাটিয়ে সঠিক সময়ে এনগোলো কঁতে ফিরলে হয়তো ফরাসি এই মিডফিল্ডারকে প্রাধান্য দিবেন কোচ টমাস টুখেল।
কোভাচিচ নিজেও কদিন আগে চোট থেকে ফিরেছেন। গত সপ্তাহে লেস্টার সিটির বিপক্ষে কঁতে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেলে তার জায়গায় মাঠে নামেন কোভাচিচ। তাই কঁতে ফিরলে নিশ্চিতভাবেই কোচের প্রথম পছন্দ হবেন তিনি। তাই এখন দেখার বিষয়, মাঝমাঠের আরেক পজিশনের জন্য জর্জিনিয়ো নাকি কোভাচিচকে বেছে নেন টুখেল।
তবে, সবকিছুর ওপরে দলের জন্য যেটা ভালো সেটাই একমাত্র চাওয়া কোভাচিচের।
“শনিবার আমাদের জন্য অনেক বড় ম্যাচ। আর দিন শেষে তো দলের জয়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কে ম্যাচে নায়ক হলো সেটা বড় কথা নয়।”