বাছাইয়ের ক্যাম্পের কারণে আপাতত বন্ধ থাকা লিগে ১৬ গোল নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো। স্থানীয়দের মধ্যে ৬টি করে গোল আছে তিন জনের-রিমন হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম সবুজ ও নিহাদ জামান উচ্ছ্বাসের। ক্যাম্পে দলে থাকা সুমনের গোল পাঁচটি। উত্তর বারিধারার এই ফরোয়ার্ডের বিশ্বাস লিগে বেশি সময় খেলার সুযোগ পেলে স্থানীয়রাও ছড়াতে পারেন আলো।
একদিন বিশ্রাম কাটিয়ে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে জাতীয় দল। এদিন দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে সুমন ঘরোয়া লিগে আরেকটু বেশি সুযোগের দাবি জানালেন।
“প্রিমিয়ার লিগের খেলাগুলো হচ্ছে, সেখানে বিদেশি ফরোয়ার্ডরাই খেলছে। স্থানীয় ফরোয়ার্ডরা তেমন একটা খেলতে পারছে না। দুই মিনিট, দশ মিনিট, পনের মিনিট বদলি খেলছে বা উইং ধরে খেলছে, যদি পুরো সময় খেলার সুযোগ পায়, তাহলে হয়ত গোলের আরও সুযোগ পাবে।”
“ক্লাবগুলো দেখে তাদের কোন খেলোয়াড়রা সেরা। অনেক টাকা দিয়ে বিদেশি খেলোয়াড় আনে। তাদের উপর আস্থাও বেশি। কর্মকর্তা, কোচ সবাই আগে তাদেরকে সুযোগ দেয়। যখন তারা না পারে, তখন আমাদের সুযোগ দেয়। যদি আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারি….কিন্তু পরের ম্যাচে যে আমাকে শুরু থেকে সুযোগ দেবে, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।”
“আসলে (পাস দেওয়ার সময়) অনেক সময় দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে। দীর্ঘদিন যদি আমরা একসঙ্গে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করি, তাহলে এই বিষয়গুলো কেটে যাবে। তবে আমরা এখন যেভাবে কাজ করছি, আশা করি কেটে যাবে।”
বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত জয় পায়নি বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে কলকাতার সল্টলেকে ড্র করে পাওয়া পয়েন্টটি একমাত্র প্রাপ্তি। কাতারে বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে জয় চান সুমন। চাওয়া পূরণে গুরুত্ব দিচ্ছে দল হয়ে খেলার দিকেও।
“এই গরমে আমরা অনেক পরিশ্রম করছি, ভালো ফল পাওয়ার জন্য। খেলার মধ্যে হার-জিত থাকেই। আমরা চেষ্টা করব তিনটা ম্যাচই জয়ের। বিশেষ করে আমরা ভারতের বিপক্ষে জিততে চাই। বাকি একটা জয় হতে পারে, ড্র হতে পারে। একটা ম্যাচ হলেও আমরা জিতব।”
“কাতারের ম্যাচগুলোতে আমরা জিততে চাই। ব্যক্তিগতভাবে কে কি করব, সেটা বড় কথা নয়, দলীয়ভাবে খেলতে চাই। জয় বা ড্র করতে চাই…আমরা ম্যাচগুলো হারতে চাই না।”
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের সূচি অনুযায়ী কাতারে আগামী ৩ জুন আফগানিস্তান, ৭ জুন ভারতের বিপক্ষে এবং ১৫ জুন ওমানের বিপক্ষে বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে দল।