প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার ৩-০ গোলে জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। রবের্তো ফিরমিনো দলটিকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ন্যাথানিয়েল ফিলিপস ও অ্যালেক্স অক্সলেইড-চেম্বারলেইন।
৩৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৯ ড্রয়ে লিভারপুলের পয়েন্ট হলো ৬৬। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে পাঁচে নেমে গেছে লেস্টার সিটি। ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে তিনে চেলসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়ার লড়াইটা চলছে এখন এই তিন দলের মধ্যে।
আগেই ইউরোপ সেরার মঞ্চের টিকেট নিশ্চিত করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে। শিরোপা জয়ী ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৮৩।
গত জানুয়ারিতে বার্নলির সঙ্গে প্রথম দেখায় অ্যানফিল্ডে ১-০ গোলে হেরেছিল লিভারপুল। তাতে লিগে ঘরের মাঠে তাদের ৬৮ ম্যাচের অজেয় যাত্রা থেমেছিল।
প্রথম চার মিনিটেই ভালো দুটি সুযোগ পায় সফরকারীরা। প্রথমে ডি-বক্সে মোহামেদ সালাহর শট রুখে দেন ডিফেন্ডার বেন মি। কাছ থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সাদিও মানে।
৩৮তম মিনিটে বার্নলির ডুয়াইট ম্যাকনিলের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন আলিসন।
বিরতির আগে এগিয়ে যায় লিভারপুল। বাঁ দিক থেকে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের পাসে ডি-বক্সে ছুটে গিয়ে ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিরমিনো।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে দ্বিগুণ হয় ব্যবধান। বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ক্রস বাড়ান মানে। ছয় গজ বক্সের মুখে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান ফিলিপস। লিভারপুলের হয়ে ইংলিশ এই ডিফেন্ডারের এটাই প্রথম গোল।
৬৮তম মিনিটে ফিলিপসের দৃঢ়তায় ব্যবধান ধরে রাখে লিভারপুল। কর্নারে জেমস টারকোভস্কির হেড গোললাইন থেকে হেডে ক্লিয়ার করেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে স্কোরলাইন ৩-০ করেন চেম্বারলেইন। রবার্টসনের পাসে নিচু শটে গোলটি করেন ইংলিশ এই মিডফিল্ডার। দারুণ জয়ের উচ্ছ্বাসে মাঠ ছাড়ে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
শেষ রাউন্ডে ঘরের মাঠে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে খেলবে লিভারপুল। চেলসির প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা। টটেনহ্যাম হটস্পারের মুখোমুখি হবে লেস্টার সিটি।