গত ২ মে ইউনাইটেড-লিভারপুল ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খেলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে মাঠে ঢুকে ক্লাবের মালিকপক্ষ গ্লেজার্স পরিবারের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড সমর্থকদের বিক্ষোভের পর স্থগিত করে দেওয়া হয় ম্যাচটি।
এর প্রভাব পড়ে সূচিতে। লেস্টার সিটির বিপক্ষে ইউনাইটেডের হোম ম্যাচ একদিন এগিয়ে গত মঙ্গলবার মাঠে গড়ায়। ম্যাচটি তারা হারে ২-১ ব্যবধানে। নতুন সূচিতে লিভারপুলের বিপক্ষে খেলা গত বৃহস্পতিবারের ম্যাচে হারে ৪-২ গোলে।
দলের এই বিবর্ণ পারফরম্যান্সের জন্য প্রস্তুতি ঘাটতির কথা বললেন সুলশার। এর পেছনে তিনি দায় দেখছেন টানা ম্যাচ খেলার। ফুলহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সোমবার সংবাদ সম্মেলনে গত দুই ম্যাচে হারের প্রসঙ্গে নিজের মত তুলে ধরেন ইউনাইটেড কোচ।
“আমি এটাকে (সমর্থকদের বিক্ষোভ) অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে চাই না, কারণ আমরা দুটি ম্যাচ হেরেছি। তবে এটা নিশ্চিত যে, আমাদের এমন পারফরম্যান্সের পেছনে এর প্রভাব রয়েছে।”
“ম্যাচ সংখ্যার কারণে শারীরিকভাবে প্রয়োজনীয় নিবেদন নিয়ে খেলা অসম্ভব। এরপর দুই ম্যাচের মাঝে আমাদের প্রস্তুতি দেখুন; সতেজ হওয়ার সময় পাইনি আমরা এবং সচরাচরের নিয়মের মধ্যেও ছিলাম না। আমরা কৌশলগত প্রস্তুতি নেইনি।”
ফুলহ্যামের বিপক্ষে জিতে দল ও সমর্থকদের আবারও ঐক্যবদ্ধ করতে চান সুলশার। তার মতে, এই জন্য হলেও ম্যাচটি তাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
“ঐক্যবোধ নয় এমন একটি ক্লাবকে দেখতে কখনোই ভালো লাগে না। আমরা আশা করছি, মঙ্গলবারের দিনটি ইতিবাচক হবে। যেন আমরা একত্রে এগিয়ে যেতে পারি।”
“দল ও সমর্থকদের মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কোনো ক্লাবের মেজাজ এবং মাঠে কি ঘটছে তার উপর। আশা করছি, খেলোয়াড়রা ভক্তদের উৎসাহিত করতে উপলক্ষ তৈরি করবে। আমাদের সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। এ কারণে এটি আমাদের জন্য বড় ম্যাচ।”