গোলের বিকল্প পথের সন্ধানে বাংলাদেশ

মাঝমাঠ থেকে ছোট ছোট ‘বিল্ড আপ।’ নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া। এরপর বক্সের বেশ বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে লক্ষ্যভেদের প্রচেষ্টা। অনুশীলনে জামাল ভূইয়া, মাহবুবুর রহমান সুফিল, বিপলু আহমেদ ও মতিন মিয়াদের এভাবেই দেখা মেলার মানেটাও পরিষ্কার। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে আছেন বিকল্প গোলদাতার সন্ধানে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2021, 12:19 PM
Updated : 17 May 2021, 12:19 PM

২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই সামনে রেখে সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম মাঠের অনুশীলন সেরেছে দল। প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে ঘাম ঝরিয়েছেন সবাই।

জেমির দুর্ভাবনার আকাশে দীর্ঘদিন ধরে গোল খরার আনাগোনা। সবশেষ নেপালে ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন ম্যাচে বাংলাদেশ গোল করে মাত্র ১টি; ফাইনাল ম্যাচের শেষ দিকে গোলটি করেছিলেন সুফিল।

চলমান প্রিমিয়ার লিগের গোলদাতাদের তালিকাতেও যথারীতি বিদেশিদের দাপট। বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো ১৬ গোল নিয়ে শীর্ষে। একই দলের আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভূত চিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাউল অস্কার বেসেরা ১৩ গোল নিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তাদের ধারে কাছে নেই স্থানীয়দের কেউ। সর্বোচ্চ ৬টি করে গোল চট্টগ্রাম আবাহনীর রাকিব হোসেন ও কিংসের তৌহিদুল আলম সবুজের।

নাবীব নেওয়াজ জীবনের দলে না থাকা জেমির আরেক দুর্ভাবনার কারণ। পায়ের অস্ত্রোপচার করে দলের বাইরে আছেন আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড। সব মিলিয়ে জামাল, বিপলু, সুফিলদের মধ্যে বিকল্প গোলদাতার খোঁজ করছেন জেমি।

“অনুশীলনেও আমরা কিছু গোল চাই। যদি অনুশীলনে ছেলেরা গোল করতে পারে, তাহলে ম্যাচেও এর পুনরাবৃত্তি করতে পারবে। যখন প্রয়োজন হয়, তখন যেন গোলের জন্য শট নেই। আমরা সম্ভবত বক্সের বাইরে থেকে যথেষ্ট শট নিচ্ছি না। যদি সুযোগ আসে, ছেলেরা যেন সেটা নেয় তার জন্যই এই অনুশীলন।”

ঈদের বিরতির পর ক্যাম্পে ফিরে ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য জানিয়েছিলেন জামাল। অধিনায়কের সুর সুর মিলিয়েছেন জেমিও। তবে চাওয়া পূরণের জন্য যে সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দিতে হবে, মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটাও।

“অবশ্যই আমরা তিন ম্যাচেই জয়ের চেষ্টা করব। তারা র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে, কঠিন ম্যাচ, আমরা জানি নিজেদের সেরাটা না দিয়ে জিততে পারব না। এটা নিয়ে আমরা গতকালও কথা বলেছি নিজেদের মধ্যে। আগামী কয়েক সপ্তাহও এ নিয়ে কথা হবে। কিছু পয়েন্ট পেতে সবাই তার সেরাটা দিতে হবে।”

“জিততে হলে খুব ভালো খেলতে হবে। কেউ যদি নিখুঁত ম্যাচ খেলতে পারে, তাহলে না জেতার কারণ দেখি না আমি।… তিন ম্যাচে আমরা যত বেশি সম্ভব পয়েন্ট পেতে চাইব। এর জন্য ছেলেরা কঠরো পরিশ্রম করছে। এগুলো আমাদের হোম ম্যাচ ছিল কিন্তু (মহামারীর জন্য) সুযোগটা আমরা হারিয়েছি। পরিস্থিতি আমাদের জন্য কঠিন, তবে আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে তিনটি ম্যাচ খেলতে চাই।”

সূচি অনুযায়ী কাতারে আগামী ৩ জুন আফগানিস্তান, ৭ জুনে ভারতের বিপক্ষে এবং ১৫ জুনে ওমানের বিপক্ষে বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।