মৌসুমের এই পর্যায়ে এসে নিজের ভবিষ্যতের চেয়ে নিশ্চিতভাবে জিদানের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ শেষ দুটি ম্যাচ। শিরোপা ভাগ্য যদিও নিজেদের হাতে নেই। কিন্তু ম্যাচ দুটি জিতে সম্ভাবনা তো ধরে রাখা যায়।
আগামী রোববার স্তাদিও সান মামেসে আথলেতিক বিলবাওয়ের মুখোমুখি হবে রিয়াল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টায়। এই ম্যাচে রিয়াল পয়েন্ট হারালে আর একই সময়ে শুরু হওয়া আরেক ম্যাচে ওসাসুনার বিপক্ষে জিতলেই শিরোপা ঘরে তুলবে আতলেতিকো।
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আবার উঠলো জিদানের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন। নিজের বিরক্তি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিলেন এই ফরাসি কোচ।
“এই প্রশ্ন খুবই একঘেয়ে। এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এখনও দুটি ম্যাচ বাকি। আমি জানি না, ঠিক কি ঘটবে। যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। এটা রিয়াল মাদ্রিদ। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি দায়িত্ব এড়াতে এটা বলছি, কারণ ব্যাপারগুলো খুব জটিল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটা আসলে ঠিক নয়। যা করার আমি করি এবং সেটা পুরোপুরিই করি।”
“এমন সময় আসে যখন পরিবর্তন দরকার হয়। কারণ, এটা সবার ভালোর জন্য। কখনও কখনও পরিস্থিতি বিবেচনায় থেকে যেতে হয়, আবার এমন সময় আসে যখন সবার ভালোর জন্য চলে যেতে হয়।”
আতলেতিকো পয়েন্ট না হারালে লা লিগা শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ নেই রিয়ালের। তবে দিয়েগো সিমেওনের দলকে নিয়ে না ভেবে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন জিদান।
“সব সময়ের মতো, আমাদের নিজেদের কাজটা করতে হবে। মাঠে আমরা নিজেদের উজাড় করে দেব, আমাদের এই কাজটাই করতে হবে। যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কেবল তা নিয়েই ভাবছি। প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি, যারা খুবই ভালো।”
মহামারীকালের কঠিন মৌসুমে কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠেছে চোট ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ। প্রথম পছন্দের চার ডিফেন্ডারকে পাওয়া গেছে খুব কম ম্যাচে। লম্বা সময় বাইরে ছিলেন এদের আজার। এতকিছুর পরও দল এখনও শিরোপা লড়াইয়ে টিকে আছে, তাতে গর্বিত জিদান।
“অনেক কঠিন সময় পার হয়ে আমরা এখানে এসেছি, এ কারণে এই বছর আমি একটু বেশিই গর্বিত।”