স্পোর্তিংয়ের যুব দল ও রিজার্ভ দল হয়ে ২০০২ সালে ক্লাবটির মূল দলে অভিষেক হয় রোনালদোর। পরের বছরই তাকে দলে ভেড়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শুরু হয় শ্রেষ্ঠত্বের পথে রোনালদোর অভিযান।
রিয়াল মাদ্রিদ ঘুরে বর্তমানে ইউভেন্তুসের জার্সিতে আলো ছড়াচ্ছেন রোনালদো। গোলের পর গোল করছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু ইউভেন্তুসের এই মৌসুমটা ভালো যাচ্ছে না মোটেও। হাতছাড়া হয়ে গেছে সেরি আর শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরের মৌসুমে খেলা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
অন্যদিকে, দীর্ঘ ১৯ বছর পর পর্তুগালের শীর্ষ প্রতিযোগিতা প্রিমেইরা লিগা জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নিয়েছে স্পোর্তিং। দুদিন আগে দলটির সমর্থকরা শিরোপা উৎসব করতে ভিড় জমায় রোনালদোর মায়ের বাড়ির সামনে। এমন পরিস্থিতিতে মা দোলোরেস আভেইরো বলেন, স্পোর্তিংয়ে ফিরতে ছেলেকে বোঝাবেন। সেই থেকে গুঞ্জনের ডালপালা মেলা শুরু। কিন্তু মেন্দেসের চোখে এগুলো স্রেফ গুঞ্জনই।
“স্পোর্তিংয়ের শিরোপা জেতা নিয়ে ক্রিস্তিয়ানো গর্বিত এবং এটা সে প্রকাশ্যে বলেছেও। কিন্তু এই মুহূর্তে তার পরিকল্পনায় পর্তুগাল (পর্তুগালে ফেরার বিষয়টি) নেই।”
ইংলিশ ফুটবলে ছয় বছর আলো ছড়িয়ে ২০০৯-১০ মৌসুমের শুরুতে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে তিনি যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। সাফল্যমণ্ডিত এই অধ্যায়ে ক্লাবের সর্বোচ্চ গোল ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলসহ অনেক রেকর্ড নিজের করে নেন রোনালদো। হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ অনেক অনেক শিরোপা জিতে ২০১৮ সালে তিনি যোগ দেন ইউভেন্তুসে।
ইতালিয়ান দলটির হয়েও প্রথম দুই মৌসুমে জিতেন সেরি আ শিরোপা। তবে এবার দল হারিয়েছে ছন্দ। যদিও রোনালদো নিজের কাজটা ঠিকই করে চলেছেন নিয়মিত। সবশেষ বুধবার রাতে, সেরি আয় সাস্সুয়োলোর বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচেও একটি গোল করেন তিনি।