৩৬ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দিয়েগো সিমিওনের দল আতলেতিকো। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জিনেদিন জিদানের রিয়াল। ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রোনাল্ড কুমানের বার্সেলোনা।
লা লিগায় মৌসুম শেষে একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হলে অবস্থান নির্ধারণে হয় বিবেচনায় নেওয়া হয় ‘হেড টু হেড’-এর ফল। এ দিক থেকে রিয়াল দুই প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে। মুখোমুখি লড়াইয়ে বার্সেলোনার বিপক্ষে আবার এগিয়ে আতলেতিকো।
আগামী রোববার ওসাসুনার বিপক্ষে এবং পরের সপ্তাহের শেষে রিয়াল ভাইয়াদলিদের বিপক্ষে খেলবে আতলেতিকো। ম্যাচ দুটি জিতলে অন্য কোনো হিসেব ছাড়াই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে দলটির। অবশ্য এই সপ্তাহেই শিরোপা জিততে পারে দলটি, যদি ওসাসুনার বিপক্ষে তারা জিতে এবং একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য ম্যাচে পয়েন্ট হারায় রিয়াল।
ওসাসুনার বিপক্ষে আতলেতিকো যদি ড্র করে বা হেরে যায় এবং আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে রিয়াল জিতে, তাহলে শিরোপাভাগ্য আর থাকবে না সিমিওনের দলের হাতে।
আতলেতিকো সামনের দুই ম্যাচ জিতলে রিয়ালের শিরোপা জয়ের কোনো সুযোগই থাকবে না।
আগামী রোববার যদি আতলেতিকো হারে এবং রিয়াল জিতে, তাহলে জিদানের দল এক লাফে আতলেতিকোর চেয়ে ১ পয়েন্টে এগিয়ে যাবে। আবার আতলেতিকো যদি ড্র করে এবং রিয়াল জিতে, তাহলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে উঠবে বেনজেমারা।
এই সপ্তাহান্তে যদি দুই দলই জিতে, তাহলে শিরোপা নিষ্পত্তি হবে মৌসুমের শেষ ম্যাচে। সেখানে রিয়ালকে জিততে হবে এবং আতলেতিকোকে হারতে বা ড্র করতে হবে।
শিরোপা জিততে হলে কুমানের দলকে সেল্তা ভিগো ও এইবারের বিপক্ষে দুই ম্যাচে শুধু জিতলেই চলবে না, লিগ টেবিলে উপরের দুই দলের হোঁচটের আশায়ও থাকতে হবে।
প্রথমত, পরের দুই ম্যাচ থেকে আতলেতিকো যদি কেবল ১ পয়েন্ট পায়, তাহলে বার্সেলোনার আশা থাকবে। কিন্তু ২ পয়েন্ট পেলে আশা শেষ; কেননা মুখোমুখি লড়াইয়ে বার্সেলোনার চেয়ে এগিয়ে আতলেতিকো।
এছাড়াও মিলতে হবে আরেকটি হিসাব। এ মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালকে বাকি দুই ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্টের বেশি পেলে চলবে না। যদি জিদানের দল ৪ পয়েন্ট পায় এবং বার্সেলোনা ৬ পয়েন্ট পায়, তাহলেও হেড টু হেডে কুমানের দলের চেয়ে এগিয়ে থাকবে রিয়াল।
আর যদি এই সপ্তাহে আতলেতিকো জিতে যায়, তাহলে ওখানেই সব আশা শেষ বার্সেলোনার।