বার্লিন স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ফাইনালে ৪-১ গোলে জিতেছে এদিন তেরজিকের দল। দুটি করে গোল করেছেন হলান্ড ও স্যানচো।
বার্লিনে পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। মাহমুদ দাহুদের কাছ থেকে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন স্যানচো। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি লাইপজিগ গোলরক্ষক।
২৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হলান্ড। মার্কো রয়েসের পাস ধরে এগিয়ে যান নরওয়ের এই ফরোয়ার্ড। ধাক্কা মেরে তাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টায় উল্টো পড়ে যান ফরাসি ডিফেন্ডার দায়দ উপেমেকানো। বাম পায়ের নিখুঁত শটে বাকিটা সহজেই সারেন ছন্দে থাকা হলান্ড।
যোগ করা সময়ে হলান্ড-রয়েস-স্যানচো ত্রয়ীর নৈপুণ্যে ব্যবধান আরও বাড়ায় ডর্টমুন্ড। উপেমেকানো ছুটে গিয়ে বাধা দেওয়ার আগেই রয়েসকে খুঁজে নেন হলান্ড। কিছুটা এগিয়ে নিজেই শট নিতে পারতেন বরুশিয়া অধিনায়ক। তা না করে খুঁজে নেন স্যানচোকে। ছুটে আসা ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে, ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষককে এড়িয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তিন মিনিটে তিনটি সুযোগ তৈরি করে দলটি। ৪৮তম মিনিটে ক্রিস্তোফা এনকুনকুর শট ফিরে বারে লেগে। পরের দুই মিনিটে মার্সেল সাবিৎসার ও দানি ওলমোর দুটি দারুণ চেষ্টা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
৭০তম মিনিটে লাইপজিগের অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার কনরাড লাইমারের শট ফিরে পোস্টে লেগে। পরের মিনিটে ব্যবধান কমান ওলমো। এনকুনকুর হেডে বল পেয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
৭৫তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-২ করার সুযোগ আসে ওলমোর সামনে। কিন্তু শট একটুর জন্য লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
৮৩তম মিনিটে ফাঁকা জাল পেয়েও হ্যাটট্রিকের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি স্যানচো। চার মিনিট পর তার কাছ থেকে বল পেয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন হলান্ড।
প্রতিযোগিতাটিতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের এটি পঞ্চম শিরোপা, ২০১৭ সালের পর প্রথম।