ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, টের পাচ্ছেন কুমান

গোল মিলেছে, মেলেনি জয়। দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েও লেভান্তের মাঠে পয়েন্ট হারিয়ে লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছে দল। বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কুমান ভালোভাবেই অনুভব করছেন পরিস্থিতির উত্তাপ। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠবে, টের পাচ্ছেন তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2021, 10:32 AM
Updated : 12 May 2021, 10:32 AM

প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার লিওনেল মেসি ও পেদ্রির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দুই গোল হজম করে বার্সেলোনা। পরে উসমান দেম্বেলের লক্ষ্যভেদে ফের এগিয়ে যায় কুমানের দল। কিন্তু সের্হিও লেওনের গোলে ৩-৩ ড্রয়ে শেষ হয় ম্যাচটি।

মূল্যবান দুটি পয়েন্ট হারালেও আপাতত লিগ টেবিলে দুইয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা। ৩৬ ম্যাচে কুমানের দলের পয়েন্ট ৭৬। একটি করে ম্যাচ কম খেলেছে শিরোপা লড়াইয়ের অন্য দুই দল আতলেতিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদ। ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে দিয়েগো সিমেওনের দল। ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে জিনেদিন জিদানের দল।

দারুণ শুরুর পর খেই হারানো, বিশেষ করে দলের দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে হতাশ কুমান। তিনিও টের পাচ্ছেন তার পারফরম্যান্স পড়বে সমালোচকদের আতশী কাঁচের নিচে।

“কোচদের সবসময় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হয়; (লেভান্তের মাঠে) দ্বিতীয়ার্ধের এমন পারফরম্যান্সের পর আমিও বুঝতে পারছি, আমাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।”

“আমরা খুবই হতাশ এবং নিজেদের প্রশ্ন করেছি, দ্বিতীয়ার্ধে কি হলো। কিন্তু আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং পরের মৌসুমের প্রস্তুতি নিতে হবে।”

জিতলে আতলেতিকোকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠত বার্সেলোনা। তারা তা না পারায় শীর্ষস্থান মজবুত করার সুযোগ সিমেওনের দলের সামনে। বুধবার রিয়াল সোসিয়েদাদের মুখোমুখি হবে তারা। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার গ্রানাদাকে হারালে বার্সেলোনাকে পেছনে ফেলবে রিয়াল।

ম্যাচে মেসি ও পেদ্রি দলকে শক্ত অবস্থানে নিলেও দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি তারা। ছন্দ হারিয়ে দুই মিনিটে হজম করে দু্ই গোল। দেম্বেলের নৈপুণ্যে আশা জেগেছিল আবারও, কিন্তু রক্ষণের দুর্বলতায় শেষ দিকে খেয়ে বসে তৃতীয় গোল। ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় এভাবে পথ হারানোয় দারুণ হতাশা ঝরল কুমানের কণ্ঠে।

“আমরা প্রথমার্ধে ভালো খেলেছি। আমাদের খেলায় গতি, নিবেদন ছিল এবং এগিয়েও গেলাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বিপদজনক জায়গায় অনেকবার বল হারিয়েছি এবং রক্ষণে অসংখ্য ভুল করেছি।”

“স্কোরলাইন ২-২ হওয়ার পর আমরা আবার ঘুরে দাঁড়ালান; গোল পেলাম, কিন্তু পরে লেভান্তেকে খুব সহজেই গোল করার সুযোগ দিলাম। বার্সার কাছে সবাই যেটা প্রত্যাশা করেন, তার সঙ্গে ৪৫ মিনিটের মধ্যে তিনটা গোল হজম করা মানায় না।”

লিগের শেষ তিন ম্যাচকে ‘তিনটি ফাইনাল’ হিসেবে নিয়েছিলেন কুমান। লক্ষ্য ছিল জয়ের। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খাওয়ায় সবকিছু কঠিন হয়ে গেছে বলেও মানছেন এই ডাচ কোচ।

“আমাদের লক্ষ্য ছিল শেষ তিনটি ম্যাচ জেতা এবং এরপর বাকিরা পয়েন্ট হারায় কিনা, সেটা দেখা। কিন্তু এখন (শিরোপা জয়) এটা আমাদের জন্য খুবই কঠিন।”