বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। দুটি গোলই তারা প্রথমার্ধে পায়। গুইলের্মে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাকিব।
প্রথম লেগে জিয়ানকার্লো লোপেজের একমাত্র গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে জিতেছিল শেখ রাসেল।
টানা তৃতীয় জয়ে ১৬ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। সমান পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে এক ম্যাচ কম খেলা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে দ্বিতীয় লেগে টানা দুই ম্যাচ হারা শেখ রাসেল।
আগের ম্যাচে মোহামেডানের কাছে হেরে আসা শেখ রাসেল সুযোগ পায় চতুর্দশ মিনিটে। কিন্তু সতীর্থের লম্বা পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুখু মিয়ার প্রতিরোধ ভাঙতে পারেননি লোপেজ। শেষ পর্যন্ত তালগোল পাকিয়ে ভালো সুযোগটি নষ্ট করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
৩৪তম মিনিটে রক্ষণের দুর্বলতায় গোল হজম করে শেখ রাসেল। ডান দিক থেকে উড়ে আসা ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে সিওভুস আসরোরভ হেডে বল তুলে দেন গুইলের্মের পায়ে। ডান পায়ের জোরালো ভলিতে জাল খুঁজে নেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। আগের ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংকে ৫-২ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচেও এক গোল করেছিলেন গুইলের্মে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে চার্লস দিদিয়েরের লব বাঁ পায়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের নিচু শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাকিব। সামনে থাকা দুই ডিফেন্ডারের কেউই পারেননি তাকে আটকাতে। সাইফ ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড।
৬২তম মিনিটে বখতিয়ার দুইশবেকভের ক্রসে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ভলিতে স্লাইড করে পা ছোঁয়াতে পারেননি আসরোরভ।
রাকিব দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতে পারতেন ৭৮তম মিনিটে। বক্সের জটলার ভেতর থেকে তার শট লাফিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান শেখ রাসেল গোলরক্ষক।
অন্য ম্যাচে, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। এই হারে ২০১৪-১৪ মৌসুমের পর লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের আশা মলিন হয়ে গেল শেখ জামালের।
১৫ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে শফিকুল ইসলাম মানিকের দল মেখ জামাল। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী লিমিটেড। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের পয়েন্ট ৪৩।