সুপার লিগে থাকলে সেরি আয় বাদ ইউভেন্তুস: গ্রাভিনা

মাথার ওপর ঝুলছে উয়েফার শাস্তির খড়গ। এবার হুমকি এলো ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন থেকে। ‘বিদ্রোহী’ টুর্নামেন্ট ইউরোপিয়ান সুপার লিগ থেকে সরে না এলে আগামী মৌসুমে ইউভেন্তুস সেরি আয় খেলতে পারবে না বলে জানালেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট গাব্রিয়েলে গ্রাভিনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2021, 04:35 PM
Updated : 10 May 2021, 04:54 PM

ভেস্তে যেতে বসা সুপার লিগে ইউভেন্তুসের সঙ্গে এখনও টিকে আছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। টুর্নামেন্টটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া ৯ ক্লাব পুরনো অবস্থায় ফেরার অঙ্গীকারনামা ‘ক্লাব কমিটমেন্ট ডিক্লারেশন’ এ স্বাক্ষর করেছে বলে গত শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে জানায় উয়েফা। সুপার লিগ প্রকল্পে রয়ে যাওয়া তিন ক্লাবকে শাস্তি ভোগ করতে হবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন সংস্থাটির সভাপতি আলেকসান্দের চেফেরিন। সেই প্রক্রিয়াও শুরু করেছে সংস্থাটি।

পরদিন ওই তিন ক্লাব বিবৃতিতে জানায়, প্রকল্পটি থেকে সরে দাঁড়াতে তাদের ওপর ‘অসহনীয়’ চাপ দিচ্ছে উয়েফা। একই সঙ্গে সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথাও জানায় তারা।

এর প্রেক্ষিতে ইতালির ‘রেডিও রাই’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রাভিনা জানান, সুপার লিগ থেকে নাম প্রত্যাহার না করলে আগামী মৌসুমে সেরি আতেই দেখা যাবে না তুরিনের দলটিকে। 

“নতুন মৌসুমের জন্য সেরি আর চুক্তি করার সময়ের আগে ইউভেন্তুস যদি সুপার লিগ থেকে সরে না আসে, তাহলে তারা বাদ পড়বে। বিষয়টি স্পষ্ট এবং ফেডারেশনের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।”

ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী, দেশটির কোনো দল ফিফা ও উয়েফা ব্যতীত অন্য কোনো অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে তারা সেরি আয় খেলতে পারবে না।

এই মৌসুমে ইউভেন্তুসের সেরি আ শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে আগেই। রোববার এসি মিলানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারায় শীর্ষ চারে থেকে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়েও জেগেছে শঙ্কা। তবে, উয়েফা ও ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের শাস্তির হুমকি বাস্তবায়িত হলে আগামী মৌসুমে এমনিতেই এই দুই প্রতিযোগিতার কোনোটিতেই দেখা যাবে না তুরিনের ক্লাবটিকে।

গত মাসে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভুত হয় সুপার লিগ। তাতে ইউরোপের ১২টি শীর্ষ ক্লাব যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিলে ঝড় ওঠে ফুটবল বিশ্বে। সমালোচনায় মুখর হয় ফুটবল বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে ক্লাবগুলোর সমর্থকরাও। সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার হুমকি তো ছিলই।

প্রবল চাপের মুখে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের ৬ ক্লাব। পর দিন সেই কাতারে যোগ দেয় ইন্টার মিলান ও আতলেতিকো মাদ্রিদ। তাতে প্রকল্পটি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। পরবর্তীতে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয় এসি মিলানও।