নিজেদের মাঠে রোববার মিলানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারা ইউভেন্তুস ৩৫ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে। ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে চতুর্থ স্থানে নাপোলি। ৭২ করে পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে আতালান্তা ও এসি মিলান। আগেই শিরোপা জিতে নেওয়া ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৮৫।
মিলানের বিপক্ষে শুরুতে বলের নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য করলেও গোল পায়নি ইউভেন্তুস। ৩০তম মিনিটে জর্জো কিয়েল্লিনি ফাঁকা পোস্টে হেড রাখতে পারেননি। এরপর ব্রাহিম দিয়াসের গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। পরে আরও দুই গোল হজম করে ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। স্কাই স্পোর্ত ইতালিয়াকে পিরলো জানান, কেন এমন হলো বোঝার জন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলবেন তিনি।
“গতকালই বলেছিলাম, এ সপ্তাহে দলকে ভালো দেখাচ্ছে। সঠিক মানসিকতা এবং মনোযোগ নিয়ে অনুশীলন করেছিলাম। দল সতেজ ছিল এবং আশা দেখিয়েছিল, মাঠে ভালো করবে।”
“আমরা শুরুটাও ভালো করলাম, কিন্তু (পরে) পথ হারালাম এবং এই (হার) ফলটা পেলাম। এটা এখন ব্যাখ্যা করা কঠিন। অনেক কৌশল কাজ করেনি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ হারের অর্থ হচ্ছে, অনেক বিষয় কাজ করেনি। আমার এগুলো মূল্যায়ন করতে হবে এবং ঠাণ্ডা মাথায় ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।”
এই পরিস্থিতিতে সরে দাঁড়াবেন কিনা বা ছাঁটাই হতে পারেন কিনা, এমন প্রশ্নের মুখেও পড়েছেন পিরলো। ‘না’ সূচক উত্তরই দিয়েছেন খেলোয়াড়ী জীবনে মিলান ও ইউভেন্তুস দুটোতেই খেলা এই কোচ।
“না, আমি সরে দাঁড়াব না। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে খুব উৎসাহ নিয়ে আমি এই দায়িত্ব নিয়েছিলাম। আমি এই দলের দায়িত্বে আছি। এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি আছে, যতক্ষণ সুযোগ দেওয়া হবে, আমি কাজ চালিয়ে যাব।”
ইউভেন্তুসের সাবেক কোচ মাওরিসিও সাররি গত মৌসুমে একই কথা বলেছিলেন। তবে কি দলের খেলোয়াড়রা পরিবর্তন বিরোধী? পিরলো অবশ্য তা মনে করেন না।
“না, এই দলটা পরিবর্তন বিরোধী নয়। এই খেলোয়াড়দের থেকে সেরাটা বের করে আনতে না পারাটা আমার ব্যর্থতা এবং অবশ্যই আমারই বদলানোর প্রয়োজন। যদি কিছু ঠিকঠাকভাবে না হয়, আমি দায় নিই। দারুণ সব খেলোয়াড় নিয়ে এই দলটা গড়া, পরিষ্কারভাবেই কিছু বিষয় কাজ করেনি (মিলান ম্যাচে)।”
“আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল; কিন্তু একই সময়ে কিছু খেলোয়াড় শতভাগ দিতে পারেনি। যখন দুই বা তিনজন খেলোয়াড় এই ধরনের ম্যাচে সংগ্রাম করে, তখন তা পুরো দলের পারফরম্যান্সকে নিচে নামিয়ে দেয়।”