স্বস্তির জয়ে চারে মোহামেডান

প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল পেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। জাফর ইকবাল হেলায় সুযোগ না হারালে ব্যবধান হতে পারত দ্বিগুণ। দুর্ভাগ্য পথ আগলে না দাঁড়ালে সমতায় ফিরতে পারত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রও। দুই বড় দলের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় পেয়েছে মোহামেডান। উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2021, 12:23 PM
Updated : 8 May 2021, 01:49 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার কৌলিদিয়াতির একমাত্র গোলে জিতেছে মোহামেডান। দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল।

দ্বিতীয় লেগে টানা দুই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামা দুই দলের মধ্যে মোহামেডান থাকল জয়ের ধারায়। ১৫ ম্যাচে আট জয় ও চার ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে তারা। দুই লেগ মিলিয়ে পঞ্চম হারের স্বাদ পাওয়া শেখ রাসেল ২৬ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে পঞ্চম স্থানে।

শুরুর দিকে বল নিয়ন্ত্রণে রাখায় মনোযোগী ছিল দুই দল। আক্রমণে এগিয়ে ছিল মোহামেডান। একাদশ মিনিটে চোট পেয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জিয়ানকার্লো লোপেস রদ্রিগেজ মাঠ ছাড়লে শেখ রাসেলের আক্রমণের ধার আরও কমে। বদলি নেমে তকলিস আহমেদ ছাপ রাখতে পারেনি।

২০তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দিয়াবাতের দূরপাল্লার শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর মিনিট চারেকের মধ্যে দুই দল জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে হয়নি গোল।

মোহামেডানের আক্রমণের ধার বাড়ে প্রথমার্ধের শেষ দিকে। ৩৯তম মিনিটে দিয়াবাতের বাইলাইন থেকে বাড়ানো কাটব্যাক ইয়াসানের কাছে পৌঁছানোর আগেই কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক। হাবিবুর রহমান সোহাগের নেওয়া ওই কর্নারে দূরের পোস্টে থাকা কৌলিদিয়াতির হেড আটকাতে পারেননি গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার বদলে নামা সবুজ দাস রঘু।

৪৪তম মিনিটে দুর্বল শটে ব্যবধান দ্বিগুণের ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করেন ইয়াসান। ক্যামেরুনের এই ফরোয়ার্ড বাঁ দিকে ফাঁকায় থাকা জাফর ইকবালকে পাস দিলে ভিন্ন কিছু হতে পারত।

যোগ করা সময়ে মোনেকের কাটব্যাকে বখতিয়ার দুইশবেকভ গোলমুখ থেকে শট নেওয়ার আগে পেছন থেকে দারুণ ট্যাকলে বিপদমুক্ত করেন মোহামেডানের জাপানি মিডফিল্ডার উরু নাগাতা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবিশ্বাস্যভাবে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন জাফর। দুখু মিয়াকে গতিতে পরাস্ত করে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ক্রস বাড়ান দিয়াবাতে। ইয়াসান টোকা দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকায় জাফর উড়িয়ে মারেন বাইরে। ভুল বুঝতে পেরে হতাশায় মুখ ঢাকেন এই ফরোয়ার্ড।

৫০তম মিনিটে ভাগ্যকে পাশে পায়নি শেখ রাসেল। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে মোনেকে ডি-বক্সে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। তার শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবারের ভেতরের দিয়ে লেগেও বল গোললাইনের বাইরে পড়ে!

৮২তম মিনিটে আব্দুল্লাহর ক্রসে দুইশবেকভ ফ্লিকের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু গতি ছিল না। অনায়াসে গ্লাভসে নেন মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন। একটু পর মোহামেডানের রবিউলের শট দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় মুঠোয় নেন রঘু।

অনেক সম্ভাবনা জাগিয়েও ব্যবধান বাড়াতে না পারার হতাশা থাকতে পারে, তবে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার আনন্দ সঙ্গী লেনের দল।