বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগের ফিরতি লেগে ৬-০ গোলে জিতেছে আবাহনী। খোরশেদ বেকনাজারভের আত্মঘাতী গোলের পর হ্যাটট্রিক করেন বেলফোর্ট। আবাহনীর অপর দুই গোলদাতা- মামুন মিয়া ও মাসিহ সাইঘানি।
প্রথম লেগে জুয়েল রানার একমাত্র গোলে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে কষ্টে জিতেছিল আবাহনী। দুই লেগ মিলিয়ে এই প্রথম কোনো ম্যাচে ৬ গোল হজম করল রহমতগঞ্জ। আবাহনীও পেল সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়।
চলতি লিগে ৬-০ স্কোরলাইনের এটি তৃতীয় ম্যাচ। গত ৩০ এপ্রিলে আগের জয়টি পেয়েছিল বসুন্ধরা কিংস, উত্তর বারিধারার বিপক্ষে। আর গত ২৬ জানুয়ারি একই ব্যবধানে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে হারিয়েছিল শেখ জামাল।
লিগের দ্বিতীয় পর্বে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পাওয়া মারিও লেমোসের দল ১৫ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে এক ম্যাচ কম খেলা শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
বেলফোর্ট-সানডে চিজোবা-জুয়েলের সম্মিলিত আক্রমণের মুখে শুরুতে রহমতগঞ্জ রক্ষণ জমাট রাখতে পারলেও প্রথমার্ধের শেষ দিকে তাতে চিড় ধরে। ১৬ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সৈয়দ গোলাম জিলানীর দল।
৩৪তম মিনিটে রায়হানের থ্রো ইনে সাইঘানির হেড অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে আবাহনী। চিজোবার কাটব্যাকে বক্সে ফাঁকায় থাকা বেলফোর্টের বাঁ পায়ের শট আটকানোর কোনো সুযোগই পাননি লিটন।
বিরতির আগে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান দিকের বাইলাইনের একটু ওপর থেকে কাটব্যাক করেন রাফায়েল অগাস্তো। আর কোনাকুনি হেডে বল জালে জড়ান বেলফোর্ট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচে ফেরা গোলের দেখা পেতে পারত রহমতগঞ্জ। কিন্তু গোলরক্ষক সুলতান আহমেদ শাকিলেরে দৃঢ়তায় তা হয়নি। কর্নারের পর ওদিলি ফেলিক্সের প্রথম শট হাত দিয়ে ফেরানোর পর ফিরতি শট পা দিয়ে আটকান শাকিল।
৬২তম মিনিটে মামুনের ক্রসে জটলার মধ্যে বুদ্ধিদ্বীপ্ত টোকায় লিগে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বেলফোর্ট। ওমর জোবে, ওবি মোনেকে, রাউল অস্কার বেসেরা ও রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর পর পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে চলতি লিগে হ্যাটট্রিক পেলেন হাইতির এই ফরোয়ার্ড।
তিন মিনিট পর বেলফোর্টের ছোট পাস ধরে নিখুঁত কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৫-০ করেন মামুন। আর ৮৪তম মিনিটে ডি-বক্সের বেশ বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে শেষ গোলটি করেন সাইঘানি। গোল উৎসবে লিগে নবম জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।