যে কোনো দলকে হারানোর যথেষ্ট রসদ নিজের শিবিরে দেখেন এই জার্মান কোচ। টুর্নামেন্টের রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুই লেগের সেমি-ফাইনালে এর প্রমাণও দিয়েছে চেলসি।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বুধবার শেষ চারের ফিরতি লেগে টিমো ভেরনার ও ম্যাসন মাউন্টের গোলে ২-০ ব্যবধানে জেতে চেলসি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় ২০১২ সালের পর ওঠে ইউরোপিয়ান শীর্ষ প্রতিযোগিতার ফাইনালে।
আগের দিন পিএসজিকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠে ম্যানচেস্টার সিটি। আগামী ২৯ মে ইস্তানবুলে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল দুটি।
ম্যাচ শেষে টুখেলের সংবাদ সম্মেলনে ওঠে ওই ম্যাচের প্রসঙ্গ। সেই লড়াইয়ের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কোনো সম্পর্ক নেই; তবে তা থেকে অনুপ্রেরণা নিতে চান জার্মান কোচ।
“ঘাম ঝরানো সেই সেমি-ফাইনালে যেমন খেলেছিলাম, তা আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগায়।…আমার কাছে বায়ার্ন মিউনিখ আর ম্যানচেস্টার সিটি বর্তমানে সবচেয়ে উঁচু মানের দল এবং আমরা সিটির সঙ্গে ব্যবধান কমাতে চাই।”
“সেমি-ফাইনালের সেই ম্যাচে আমরা দারুণ খেলেছিলাম। আবারও আমাদের তেমন পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। ওই লড়াই পরবর্তীতে আমাদের প্রতিটা ম্যাচে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে কারণ, এটাই সর্বোচ্চ পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ।”
“প্রিমিয়ার লিগে আমাদের সামনে ছিল কঠিন সব চ্যালেঞ্জ এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই আমরা তা থেকে বেরিয়ে এসেছি। ম্যাচগুলোতে আমরা নিজেদের মানসিক শক্তি ও মানের পরিচয় দিয়েছি।”
“তাই হ্যাঁ, ইস্তানবুলে আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়েই যাব। কোনো চোট নয়, কেবল জয়ের ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে যাব।”
দলকে এই অবস্থায় আনতে অনেক ছাড় দিতে হয়েছে বলে জানালেন টুখেল। পরিবার থেকে থাকতে হয়েছে দূরে।
“প্রথম দিন থেকে আমি ছিলাম অসাধারণ একটা দলের অংশ এবং সেই দিন থেকেই আমি অনেক সমর্থন পেয়েছি। এই দলের ডাগআউটে থাকার সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।”
“আজ (বুধবার) ছেলেরা উজ্জীবিত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে…তবে কাজ এখনও শেষ হয়নি। আমরা দুটি ফাইনালে উঠেছি আর প্রথম দিন থেকে যে ত্যাগ আমি করেছি তা স্বার্থক।”