আজকের এই সাফল্য শুধু এই মৌসুমের কষ্টের ফল নয়, বরং গত চার-পাঁচ বছরের কঠিন পরিশ্রমেই দল আজকের অবস্থানে এসেছে বলে মনে করেন সময়ের সেরা কোচদের একজন হিসেবে বিবেচিত গুয়ার্দিওলা।
ম্যানচেস্টারের ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সফরকারী পিএসজির বিপক্ষে রিয়াদ মাহরেজের জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে জেতে গুয়ার্দিওলার দল। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে পা রাখে ফাইনালের মঞ্চে।
২০১৬ সালে সিটির দায়িত্ব নেওয়া গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে প্রথম মৌসুমে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে যায় সিটি। পরের তিন মৌসুমের প্রতিবার বিদায় নেয় কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে।
তবে হাল না ছেড়ে অধরাকে ছুঁতে সঠিক পরিকল্পনায় এগুতে থাকে সিটি। অবশেষে ঘরোয়া লিগে দারুণ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা এবার ইউরোপিয়ান শীর্ষ লিগেও বয়ে আনল তারা।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে ঠাসা সূচিতে অন্য দলগুলো যেখানে বিভিন্ন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়ছে; সেখানে দারুণ ছন্দে রয়েছে সিটি। প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা থেকে ৩ পয়েন্ট দূরে (হাতে আছে চার ম্যাচ) থাকা দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হারেনি কোনো ম্যাচ, ১২ ম্যাচে জয় ১১টিতেই। নকআউট পর্বে জিতেছে সবগুলো ম্যাচ। সব মিলিয়ে প্রথম ইংলিশ দল হিসেবে প্রতিযোগিতায় জিতেছে টানা সাত ম্যাচ।
“গত চার বছরে আমরা যা করেছি তা অবিশ্বাস্য। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতা আর আমাদের জন্য ফাইনালে ওঠতে পারা ছিল আরও কঠিন।”
“গত চার-পাঁচ বছরে ক্লাবে আমরা যা কিছু করেছি, তার জন্য আমরা ফাইনালে খেলার যোগ্য।”
কঠিন এই যাত্রার শুরুর দিকের সেনানীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন গুয়ার্দিওলা, যারা এখন আর দলের সঙ্গে নেই।
“আমি সেই সব সাবেক খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ দিতে চাই যারা আমাদের অন্য পর্যায়ে নিতে সহায়তা করেছে-জো হার্ট, ভিনসেন্ট কোম্পানি, দাভিদ সিলভা। আজকের সাফল্য তাদের জন্য সম্ভব হয়েছে।”
ক্লাবের মালিক থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড স্টাফ ও আড়ালে থেকে কাজ করা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সাবেক এই বায়ার্ন মিউনিখ কোচ। বিশেষ করে সমর্থকদের ধন্যবাদ দিলেন তিনি। মাঠে প্রবেশ নিষেধ জেনেও যারা এদিন স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন।
আগামী ২৯ মে ইস্তানবুলের ফাইনালে সিটির প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা চেলসি।