ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হারায় ফিরতি লেগে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে কঠিন পথ পেরুতে হতো পিএসজিকে। মঙ্গলবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে উল্টো তারা হেরে যায় ২-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে পিছিয়ে বিদায় নেয় গতবারের ফাইনালিস্টরা।
শেষ ষোলোয় বার্সেলোনা ও কোয়ার্টার-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জয়ের নায়ক এমবাপেকে না পাওয়াটা ছিল পিএসজির জন্য বিশাল এক ধাক্কা। কাম্প নউয়ে হ্যাটট্রিকের পর বায়ার্নের মাঠে তিনি করেছিলেন জোড়া গোল।
আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আট গোল করা এমবাপে অবশ্য বেঞ্চে ছিলেন; কিন্তু যথেষ্ট ফিট না থাকায় কোনো ঝুঁকি নেননি কোচ। নেইমার-মাউরো ইকার্দিরাও ভাঙতে পারেনি সিটির জমাট রক্ষণ। লক্ষ্যে কোনো শটই রাখতে পারেনি দলটি।
ম্যাচ শেষে সিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে পচেত্তিনো বললেন, এমবাপের অনুপস্থিতি হারের কারণ হতে পারে না।
“তারা (ম্যানচেস্টার সিটি) ছিল নিখুঁত।…আমি ম্যানচেস্টার সিটিকে অভিনন্দন জানাই। দুর্দান্ত একটা মৌসুম কাটছে তাদের।”
নেইমার-দি মারিয়ারা বারবার আক্রমণে উঠলেও প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না। লক্ষ্যহীন শট আর বক্সের মুখে বল হারিয়ে সুযোগ নষ্ট করছিল তারা। তারপরও, সবকিছু পরিকল্পনা মতো হয়েছে বলেই মনে করেন ২০১৯ সালে টটেনহ্যাম হটস্পারকে প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে নেওয়া পচেত্তিনো।
“পরিকল্পনা মতোই আমরা খেলেছি। আমাদের শুরুটা খুবই ভালো ছিল, অনেকগুলো সুযোগ তৈরি এবং ম্যানচেস্টার সিটির ওপর আধিপত্য করছিলাম, যা সহজ নয়।”
“ফুটবলে কখনও কখনও ম্যাচের কোনো একটা সময় ভাগ্যের দরকার হয়। আমরা যখন চাপ ধরে রেখেছিলাম, তখনই লং পাসে গড়া আক্রমণে তারা গোল করে।”
ম্যাচের একাদশ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের গোলে পিছিয়ে পড়ার পরপরই সমতায় ফেরার দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। কিন্তু মার্কিনিয়োসের হেড ক্রসবারে বাধা পাওয়ার পর লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশ করেন আনহেল দি মারিয়া।
ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটিও করেন মাহরেজ। এর ছয় মিনিট পর মেজাজ হারিয়ে দি মারিয়া লাল কার্ড দেখলে কার্যত সব আশা শেষ হয়ে যায় পিএসজির।