হার্ভাটজের জোড়া গোলে চেলসির জয়

দুই অর্ধের শুরুতে বল জালে পাঠালেন কাই হার্ভাটজ। এই জার্মান মিডফিল্ডারের নৈপুণ্যে প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকের ক্লাব ফুলহ্যামকে হারাল চেলসি। মজবুত করল শীর্ষ চারে নিজেদের অবস্থান।

নিজেদের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শনিবার ২-০ গোলে জিতেছে টমাস টুখেলের দল।

গত জানুয়ারিতে প্রথম দেখায় ফুলহ্যামের মাঠে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল চেলসি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে গত মঙ্গলবার রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে ১-১ ড্র ম্যাচ থেকে একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন আনেন টুখেল। পুরো ম্যাচে চেলসির ৯ শটের ৫টি ছিল লক্ষ্যে, ফুলহ্যামের ১০ শটের ৩টি।

আগামী বুধবার নিজেদের মাঠে রিয়ালের বিপক্ষে ফিরতি লেগে খেলবে চেলসি। এর আগে লিগের এই জয় নিশ্চিতভাবে তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াবে।

গোলের উদ্দেশে প্রথম শটটি নেয় ফুমহ্যাম। পঞ্চম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে রবিনসনের শট লাফিয়ে এক হাতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি।

দশম মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে বাড়ান ম্যাসন মাউন্ট। বাঁ পায়ের শটে বাকিটা সারেন হার্ভাটজ। ছয় মিনিট পর এই জার্মান মিডফিল্ডার বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।

২৩তম মিনিটে আরেকটি দারুণ সেভে জাল অক্ষত রাখেন মঁদি। ইংলিশ ফরোয়ার্ড অ্যাডেমোলা লুকম্যানের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি। ৩৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর শট মারেন হাকিম জিয়াশ।

৪৯তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হার্ভাটজ। টিমো ভেরনারকে ডি-বক্সের সামনে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি। স্বদেশি ফরোয়ার্ডের বাড়ানো বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে পরাস্ত করেন গোলরক্ষককে।

বাকি সময়ে সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। ৭৪তম মিনিটে কাছ থেকে ভেরনারের শট প্রতিহত হয় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে।

৩৪ ম্যাচে ১৭ জয় ও ১০ ড্রয়ে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে চেলসি। ২৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৮তম স্থানে ফুলহ্যাম।

দিনের প্রথম ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৩৪ ম্যাচে পেপ গুয়ার্দিওলার দলের ৮০ পয়েন্ট।

তাদের চেয়ে এক ম্যাচ খেলে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৩৪ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে লেস্টার সিটি।