মারাদোনার চিকিৎসা ছিল ‘ত্রুটিপূর্ণ ও যত্নহীন’

দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যুর কদিন পর থেকেই শুরু হয় নানারকম গুঞ্জন। অভিযোগ ওঠে চিকিৎসকদের গাফিলতির। সঠিক কারণ জানতে গঠন করা মেডিকেল বোর্ডের তদন্তে সেটাই বেরিয়ে এসেছে। মৃত্যুর আগে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে দেওয়া চিকিৎসাকে ‘ত্রুটিপূর্ণ ও যত্নহীন’ বলা হয়েছে তাদের প্রতিবেদনে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 May 2021, 06:11 PM
Updated : 1 May 2021, 06:11 PM

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে গত ২৫ নভেম্বর মারা যান ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের একজন মারাদোনা।

মাদকাসক্তি, অ্যালকোহোলের প্রতি আসক্তি ও স্বাস্থ্যঘটিত নানান জটিলতায় দীর্ঘদিন ভোগা ১৯৮৬ বিশ্বকাপের এই মহানায়ক মৃত্যুর আগে বেশ কয়েকদিন ছিলেন হাসপাতালে। তখন তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল।

অস্ত্রোপচার সফল হলেও হঠাৎ করে অ্যালকোহল বাদ দেওয়ায় কিছু সমস্যা দেখা দেয়। একারণে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দিন হাসপাতালে থাকতে হয় মারাদোনাকে। তারপর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন আর্জেন্টাইনদের ‘ফুটবল ঈশ্বর।’

সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে ওঠার মাঝে হঠাৎ করেই আসে তার মৃত্যুর খবর। পরদিনই মারাদোনার আইনজীবী মাতিয়াস মোরিয়া কিংবদন্তির মৃত্যুর পূর্ণ তদন্তের দাবি জানান। এরপর গত মার্চে মারাদোনার মৃত্যুর সঠিক কারণ এবং তার চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি ছিল কি-না, জানতে ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্যানেল গঠন করা হয়।

কয়েকটি স্থানীয় গণমাধ্যম শুক্রবার ওই প্যানেলের প্রতিবেদন নিয়ে খবর ছেপেছে। প্যানেলের ৭০ পাতার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা আগে মারাদোনা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও ওই সময়ে তার দেখভাল ঠিকমতো করা হয়নি।

আর্জেন্টিনার পত্রিকা ক্লারিন লিখেছে, মারাদোনার চিকিৎসকরা নাকি হাল ছেড়ে দিয়ে তার বেঁচে থাকার বিষয়টি ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে প্যানেলের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দাবি, বাড়িতে চিকিৎসা না করে যদি হাসপাতালে নেওয়া হতো, তাহলে মারাদোনার বাঁচার ভালো সম্ভাবনা ছিল।

রয়টার্সের দাবি, তদন্ত প্রতিবেদনটির একটি কপি তারা হাতে পেয়েছে। তাতে মারাদোনার চিকিৎসকদের দেওয়া চিকিৎসা পদ্ধতিকে ‘অনুপযুক্ত, ত্রুটিপূর্ণ ও যত্নহীন’ বলা হয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ৩৯ বছর বয়সী লিওপোলদো লুক ও তার সাইক্রিয়াট্রিস্ট।

মেডিকেল প্যানেলের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোনো অভিযোগ গঠন করা হবে কি-না, সেটা প্রসিকিউটরদের সিদ্ধান্ত। ক্লারিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যার অভিযোগ আনা হতে পারে।