ইউরোপা লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৬-২ গোলে জিতে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল ইউনাইটেড। প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছে আর্সেনাল। হারের হতাশা সঙ্গী হলেও মূল্যবান একটি অ্যাওয়ে গোল নিয়ে ফেরার স্বস্তি আছে মিকেল আর্তেতার দলের।
আগামী বৃহস্পতিবার ফিরতি লেগে আর্সেনাল খেলবে নিজেদের এমিরেটস স্টেডিয়ামে। ইউনাইটেড যাবে রোমার আঙিনায়।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইউনাইটেড। যদিও নবম মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল তারা। এদিনসন কাভানির থ্রু বল ধরে ডান পায়ের নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রুনো ফের্নান্দেস।
এই অর্ধে গোলের উদ্দেশে নেওয়া দুই শটেই সফল রোমা। পঞ্চদশ মিনিটে ডি-বক্সে পল পগবার হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে সমতা টানেন লরেন্সো পেল্লেগ্রিনি।
৩৩তম মিনিটে পেল্লেগ্রিনির বাড়ানো বল জালে জড়ান এদিন জেকো। এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় সেরি আর দলটি। বিরতির পরপরই সেই স্বস্তি উবে যায় তাদের।
৭১তম মিনিটে ফের্নান্দেসের পেনাল্টি গোলে ম্যাচে চালকের আসনে বসে প্রতিযোগিতার ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা। বক্সে কাভানি ফাউলের শিকার হয়েছিলেন। চার মিনিট পর কর্নার থেকে পগবা হেডে লক্ষ্যভেদ করলে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় ইউনাইটেডের।
৮৬তম মিনিটে ম্যাসন গ্রিনউডের গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড।
এদিকে, ভিয়ারিয়ালের মাঠে প্রথমার্ধে আর্সেনালের খেলায় ছিল না প্রত্যাশিত ধার। তিন প্রচেষ্টার কোনোটিই তারা গোলমুখে রাখতে পারেনি। অন্যদিকে, গোলের উদ্দেশে নেওয়া তিন শটের দুটিতে লক্ষ্যভেদ করে স্প্যানিশ দল ভিয়ারিয়াল।
৫৭তম মিনিটে দানি সেবাইয়োস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ২০১৯ সালের রানার্সআপ আর্সেনালের ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা কঠিন হয়ে যায়।
৭১তম মিনিটে নিকোলাস পেপের সফল স্পট কিকে ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ পায় আর্সেনাল। ডি-বক্সে বুকায়ো সাকা ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা।
এতিয়েন কেপু ৮০তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ভিয়ারিয়ালও। কিন্তু বাকিটা সময়ে সমতাসূচক গোলের দেখা পায়নি আর্সেনাল।