জিদানের স্বস্তি, কোর্তোয়ার হুমকি

ম্যাচের শুরুতেই চেলসি যে ভীতি ছড়িয়েছিল, তাতে অন্য কোনো ফল হলেও হয়তো অবাক হওয়ার কিছু হতো না। তাইতো, শুরুর ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে শেষ পর্যন্ত ড্রয়ে মাঠ ছাড়তে পারার মাঝেই স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2021, 10:46 AM
Updated : 28 April 2021, 10:46 AM

কোনোরকম ইতস্তত না করে ফরাসি কিংবদন্তি বললেন, প্রতিপক্ষের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও দল এখনও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকায় তিনি খুশি।

আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে দারুণ আক্রমণাত্মক শুরু করা চেলসি ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের গোলে এগিয়ে যায়। শুরুর বিবর্ণতা ঝেড়ে এরপরই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে রিয়াল। পরে দুর্দান্ত এক গোলে সমতা টানেন করিম বেনজেমা।

বৃষ্টিভেজা মাঠে ম্যাচটি ১-১ স্কোরলাইনে শেষ হলে যেন হাফ ছাড়েন জিদান। কঠিন পরীক্ষা শেষে জিদানের কথায়ও ফুটে ওঠে তাই।

“ছেলেদের উপর আমি খুব খুশি, কারণ আমরা এখনও লড়াইয়ে আছি।”

“প্রথম ২৫-৩০ মিনিট আমাদের ছন্দ পেতে কিছুটা লড়াই করতে হয়েছে। তবে এরপর আমরা উন্নতি করেছি এবং দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভালো খেলেছি, নিয়ন্ত্রণও আমাদের ছিল। সব মিলিয়ে ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।”

শেষ ষোলোয় আতালান্তার বিপক্ষে এবং কোয়ার্টার-ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে রিয়ালের ঘরের মাঠের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। অনেকটা সহজেই ওই দুই বাধা পেরিয়েছিল তারা। কিন্তু চেলসির বিপক্ষে প্রায় পুরো ম্যাচেই চাপের মুখে ছিল জিদানের শিষ্যরা।

এমন দারুণ একটি লড়াইয়ের পর প্রতিপক্ষকে বাহবা দিতে কার্পণ্য করেননি জিদান।

“যারা তুলনামূলক একটু বেশি উপরে উঠে আক্রমণ করে, আমরা তাদের বিপক্ষে ভালো খেলি। কিন্তু আমাদের এবারের প্রতিপক্ষ ছিল খুব ভালো, দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তারা। তারা শেষ ২১ ম্যাচের ১৬টিতে গোল হজম করেনি (মঙ্গলবারের ম্যাচের আগে) এবং এখানে তারা প্রমাণ করল, কেন। তারা যোগ্যতার বলেই সেমি-ফাইনালে উঠেছে।”

ম্যাচের শুরুর দিকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেভ করা থিবো কোর্তোয়াও কোচের সঙ্গে একমত, দুর্দান্ত খেলেছে চেলসি। তবে ফিরতি পর্বে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক।

“তারা বেশি আক্রমণাত্মক ও গতিময় ফুটবল খেলেছে। ওরা যেভাবে ম্যাচ শুরু করেছে, আমরা ঠিক সেটাই করতে চেয়েছিলাম। চেলসি নিজেদের সবটুকু দিয়ে লড়েছে। আমাদের জন্য কঠিন সময়ে প্রথম গোলটি হয়েছে। তবে এরপর আমরা নিজেদের জাগিয়ে তুলতে পেরেছি।”

“১-১ স্কোরলাইনের মানে হলো আগামী সপ্তাহের ম্যাচটি ফাইনাল। আমার মনে হয় না, ম্যাচটি গোলশূন্যভাবে শেষ হবে। আর চেলসি যদি আমাদের আক্রমণ সামলানোর ভাবনায় রক্ষণ আকড়ে পড়ে থাকে, তাহলে তারা মস্তবড় ভুল করবে।”

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আগামী বুধবার মাঠে গড়াবে ফিরতি পর্ব। অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা থাকায় ওই ম্যাচ গোলশূন্য ড্র করলেই ফাইনালের টিকেট পাবে চেলসি।