ইংল্যান্ড, স্পেনের ফুটবল নিয়ে এমবাপের আগ্রহ

কিলিয়ান এমবাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন চলছেই। অনেকের ধারণা, আগামী মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেবেন তিনি। মাঝে মধ্যে শোনা যায় কিছু ইংলিশ ক্লাবের নামও। এসবের মধ্যে পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো নিজেই জানালেন, তার কাছে ইংল্যান্ড, স্পেনসহ কয়েকটি দেশের ফুটবল সম্পর্কে জানতে চান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2021, 11:39 AM
Updated : 27 April 2021, 11:39 AM

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে বুধবার ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে পিএসজি। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

পিএসজির সঙ্গে এমবাপের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালে। তবে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা ২২ বছর বয়সী এই তারকার সঙ্গে চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে আশাবাদী।

লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের সঙ্গে এমবাপের গভীর যোগাযোগ আছে বলে খবর এসেছে একাধিকবার।

সিটির বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে এমবাপের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন পচেত্তিনো। বিশ্বকাপ জয়ী তারকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন এই আর্জেন্টাইন কোচ।

“কিলিয়ান ফুটবল ভালোবাসে এবং ফুটবল নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসে। সে ইংল্যান্ড সম্পর্কে জানতে চায়-ইংল্যান্ডে ফুটবলটা কেমন, তাদের মানসিকতা এবং তাদের ফুটবল সংস্কৃতি কেমন? স্পেন এবং আর্জেন্টিনা সম্পর্কেও জানতে চায়। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানির ম্যাচগুলো সে প্রতিদিন দেখে।”

“তার বয়স মাত্র ২২, কিন্তু খুবই পরিণত, আত্মবিশ্বাসী, মেধাবী। সে শুধু ফরাসি নয়, নিখুঁতভাবে ইংলিশ ও স্প্যানিশও বলতে পারে। আমি তার সঙ্গে ইংলিশ ও স্প্যানিশে কথা বলি-স্প্যানিশের চেয়ে ইংলিশ বেশি বলি।”

এমবাপের ইংলিশ শেখার প্রতি আগ্রহের কথাও জানালেন পচেত্তিনো।

“একদিন তাকে বললাম, তোমার সঙ্গে ফরাসি ভাষায় কথা বলার অনুশীলনটা করা দরকার, যাতে আমার উন্নতি হয়। সে বলল-‘অবশ্যই, কিন্তু আমার জন্য আরও ভালো হবে যদি আমরা ইংরেজিতে কথা বলি।’ এমবাপে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করে।”

পচেত্তিনোর সাক্ষাৎকারে উঠল, বার্সেলোনাকে ছিটকে দিয়ে তার দলের শেষ আটে ওঠার অধ্যায়। এমবাপের আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে গিয়ে শোনালেন আগেও বলা একটি গল্প।

“বার্সেলোনার বিপক্ষে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের আগে আমি তাকে বললাম, এস্পানিওলের হয়ে একবার তাদের মাঠে জিতেছিলাম। খুবই সিরিয়াসলি সে বলল-ওকে, ঠিক আছে, আগামীকাল সেটা দ্বিতীয়বারের মতো হবে।”

“আমি বললাম-তুমি নিশ্চিত? এবং সে বলল-হ্যাঁ, চিন্তার কিছু নেই। আমরা জিতব। (এবং জয়ের পর) ম্যাচ শেষে মাঠেই সে হাসতে হাসতে আমাকে মনে করিয়ে দিল, সে এটা বলেছিল।"