গত রোববার রাতে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। ‘বিদ্রোহী’ এই লিগে যোগ দেয় ইউরোপের শীর্ষ ১২টি ক্লাব-রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, আতলেতিকো মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, ইউভেন্তুস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান।
কিন্তু উয়েফা-ফিফার হুমকি, বিভিন্ন ফুটবল ফেডারেশন, সাবেক-বর্তমান ফুটবলার, সমর্থকদের কড়া সামলোচনার তোড়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভেস্তে যেতে বসে ‘বিদ্রোহী’ লিগের আয়োজন। এরই মধ্যে ইংল্যান্ডের ছয় ক্লাব সরে দাঁড়িয়েছে। কাগজে-কলমে টিকে আছে চার দল। লিগটি মাঠে গড়ানোর আশা আপাতত নেই বললেই চলে।
অনেক লাভের হিসাব কষে এখন কিছুই না পাওয়ার প্রবল শঙ্কা জাগায় নিজেদের ভুলটাও বুঝতে পারছে জেপি ব্যাংক।
“এই উদ্যোগ ফুটবল সম্প্রদায় কিভাবে দেখবে এবং এটা কিভাবে ভবিষ্যতে প্রভাব রাখবে, সেটা আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে ভুল করেছি। আমরা এখান থেকে শিখব।”
প্রতিষ্ঠাতা ক্লাবগুলোকে সুপার লিগের অবকাঠামো নির্মাণ এবং করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে সাড়ে তিনশ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করেছিল জেপি ব্যাংক।
২৩ বছর মেয়াদী এই চুক্তিতে ব্যাংকটির প্রত্যাশা ছিল সুদে-আসলে ৬শ ১ কোটি ইউরো পাওয়ার।