গত রোববার রাতে ফুটবল দুনিয়ায় ঝড় তোলা খবরটি আসে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী ইউরোপিয়ান সুপার লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় এতে যোগ দেওয়া ১২টি ক্লাব; রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, আতলেতিকো মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, ইউভেন্তুস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান।
এরই মধ্যে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা প্রধান আলেকসান্দার চেফেরিন সুপার লিগকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। বিদ্রোহী এ লিগে খেলা ফুটবলারদের জাতীয় দলের দরজা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
ফিফাও গত জানুয়ারিতে এমন হুমকিই দিয়েছিল। তবে রোববার যে বিবৃতি সংস্থাটি দেয়, তাতে আগের অবস্থান থেকে তারা কিছুটা সরে এসেছে বলেই মনে হচ্ছিল। শান্ত থেকে এবং অর্থপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষে মত দিয়েছিল ফিফা।
কিন্তু জিওভান্নির মঙ্গলবারের মন্তব্যে ফিফার আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। সুপার লিগের ‘ঘোর বিরোধিতা করা হবে’ এবং এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে দলগুলোকে সিদ্ধান্তের জন্য ‘পরিণতি ভোগ করতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
“সম্ভবত কিছু লোকের স্বল্পমেয়াদী আর্থিক লাভের জন্য অনেক কিছু ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। হয় তোমরা (আমাদের সঙ্গে) থাকবে, নয়ত বিদায় নিবে।”
এর মাঝেই অবশ্য সুপার লিগ ঘিরে দৃশ্যপটে নাটকীয় পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিতর্কিত টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। চেলসিও সেই পথে হাঁটার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।