মৌসুম শেষে বায়ার্ন ছাড়ছেন ফ্লিক

গত ১০ মাসে বায়ার্ন মিউনিখের অর্জনের শোকেসে তুলেছেন ৬টি শিরোপা। গড়েছেন এক মৌসুমে ছয় শিরোপা জয়ের ইতিহাস। চলতি মৌসুমেও বুন্ডেসলিগা জয়ের পথে ছুটছে দল। কিন্তু ট্রান্সফার পলিসি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতেই বোধহয় পথ আলাদা হয়ে গেল। হঠাৎ করেই হান্স ফ্লিক জানালেন, মৌসুম শেষে কোচের দায়িত্ব ছাড়তে চান তিনি!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2021, 07:22 PM
Updated : 17 April 2021, 07:22 PM

ভলফসবুর্কের মাঠে শনিবার লিগ ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। টানা নবম শিরোপার লক্ষ্যে থাকা দলটি ২৯ রাউন্ড শেষে ২১ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। ৭ পয়েন্টে পিছিয়ে দুইয়ে লাইপজিগ। এই ম্যাচের পরই নিজের ভবিষ্যৎ ভাবনা জানান ফ্লিক।

“এ সপ্তাহে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যে মৌসুম শেষে আমি চুক্তির ইতি টানতে চাই। আজ দলকেও তাই বললাম।”

জার্মান জাতীয় দলের সাবেক সহকারী কোচ ফ্লিক ২০১৯ সালের নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে বায়ার্নের দায়িত্ব নেন। পরের মাসেই তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করে কর্তৃপক্ষ।

ফ্লিকের হাত ধরে ২০১৯-২০ মৌসুমে ইতিহাস লেখে দলটি। বার্সেলোনার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বছরে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ছয় শিরোপার সবগুলোই ঘরে তোলে তারা। ২০০৯ সালে পেপ গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে এই কীর্তি গড়েছিল কাতালান দলটি।

কয়েক মাস ধরে বায়ার্নের স্পোর্টিং ডিরেক্টর হাসান সালিহামদিজিচের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল ফ্লিকের। গণমাধ্যমের খবর, খেলোয়াড় কেনা-বেচায় নিজের ইচ্ছার আরেকটু বেশি প্রতিফলন চাচ্ছিলেন কোচ। তবে এ বিষয়ে কিছু বলেননি ৫৬ বছর বয়সী ফ্লিক।

“ক্লাবের দায়িত্বশীল লোকদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণভাবে কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলাম আমি। আর সেগুলো ভেতরেই থাকবে।”

বায়ার্নের সঙ্গে এই জার্মান কোচের চুক্তির মেয়াদ আছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ক্লাব সভাপতি হের্বার্ট হেইনার নিশ্চিত করে বলেছিলেন, চুক্তির শেষ পর্যন্ত অবশ্যই থাকছেন ফ্লিক।

আগামী জুন-জুলাইয়ের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ পর্যন্ত জার্মানি জাতীয় দলের দায়িত্বে আছেন ইওয়াখিম লুভ। তার উত্তরসূরি হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে ফ্লিককে। ২০১৪ সালে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে লুভের সহকারী থাকা ফ্লিক অবশ্য জানালেন, ভবিষ্যতের ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।

“ভবিষ্যৎ আসলেই পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। অবশ্যই জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কাজ করা একটা উপায়, যেটা সব কোচই ভাববে। তবে এই দায়িত্ব আরও স্বাধীন। এ সিদ্ধান্ত আমিই নিয়েছিলাম।”

“এখন আমাকে সবকিছু সহ্য করতে হবে। গত কয়েকটি সপ্তাহ সহজ ছিল না। এ কারণেই বিষয়টা ক্লাবকে এবং দলকে বলাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”