কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি পর্বে বুধবার রাতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। প্রথম লেগে ঘরের মাঠেও একই ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে এই প্রথম প্রতিযোগিতাটির সেমি-ফাইনালে উঠল সিটি। গত তিন আসরে তারা বিদায় নিয়েছিল শেষ আট থেকে। আর ক্লাবের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতাটির শেষ চারে উঠেছে তারা।
২০১০-১১ মৌসুমে কাম্প নউয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর থেকে এই স্বাদ আর পাননি গুয়ার্দিওলা। ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বায়ার্নের কোচ থাকাকালীন প্রতিবার বিদায় নেন শেষ চার থেকে।
কোচিং ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে অষ্টমবারের মতো প্রতিযোগিতাটির শেষ চারে উঠলেন গুয়ার্দিওলা। সিটির জন্য এটি খুব বেশি প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন তিনি।
“এটা (সেমি-ফাইনালে ওঠা) অবিশ্বাস্য অনুভূতি। দ্বিতীয়বারের মতো আমরা সেমি-ফাইনালে উঠলাম, এই প্রতিযোগিতায় আমাদের ক্লাবের ইতিহাস খুব সমৃদ্ধ না।”
“ক্লাবের জন্য এটা খুব বড় অর্জন, যা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। মানসিক দিক থেকে, এই ধাপটা (কোয়ার্টার-ফাইনাল) পেরুনো আমাদের সবার জন্য খুব দরকার ছিল।”
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দলটি খেলবে গতবারের রানার্সআপ পিএসজির বিপক্ষে, যারা শেষ আট থেকে বিদায় করে দিয়েছে শিরোপাধারী বায়ার্নকে। গুয়ার্দিওলা ভালো করেই জানেন, সামনের পথচলা কতটা কঠিন হবে।
“এখন আমরা আরও চাই। জানি পিএসজি কতটা শক্ত প্রতিপক্ষ। তারা বায়ার্ন মিউনিখকে বিদায় করে দিয়েছে। দেখা যাক কী হয়। তবে ক্লাব ও খেলোয়াড়দের জন্য এখন এটা বড় মুহূর্ত।”