অ্যানফিল্ডে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জেতে লিভারপুল। ওলি ওয়াটকিন্সের গোলে পিছিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা পড়ার পর সমতা টানেন মোহামেদ সালাহ। যোগ করা সময়ে ব্যবধান গড়ে দেন ট্রেন্ট-অ্যালেকজ্যান্ডার আর্নল্ড।
এরই সঙ্গে ঘরের মাঠে ছয় ম্যাচের জয়খরা কাটল দলটির। লিগে এই বছরে ঘরের মাঠে লিভারপুলের এটাই প্রথম জয়! এর আগে সবশেষ এখানে তারা জিতেছিল গত ১৬ ডিসেম্বর, টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ২-১ গোলে।
গত ৪ অক্টোবর লিভারপুলকে ঘরের মাঠে পেয়ে তাদের ৭-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল অ্যাস্টন। সেই কষ্টে প্রলেপ দেওয়ার এবং ঘরের মাঠে জয়ে ফেরার ম্যাচে প্রথমার্ধে লিভারপুলকে স্বরূপে দেখা যায়নি ঠিকই, তবে বল দখলে ও আক্রমণে তাদের আধিপত্য ছিল।
গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে হারের ম্যাচে লিভারপুলের তৃতীয় গোল হজমে দায় ছিল আলিসনের। এবার আরও হতাশ করলেন তিনি। ৪৩তম মিনিটে ওয়াটকিন্সের শটে খুব বেশি গতি ছিল না, নাগালের মধ্যেও ছিল; কিন্তু বলে হাত লাগালেও ঠেকাতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।
স্বাগতিকদের হতাশা বাড়ে বিরতির আগে। কাছ থেকে রবের্তো ফিরমিনো জালে বল জড়ান। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জটা ইঞ্চি ব্যবধানে অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল। অনেকক্ষণ ধরে ভিএআরে যাচাইয়ের পর সিদ্ধান্ত জানান রেফারি।
৫৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে লিভারপুল। জটার বাড়ানো বল ধরে জোরালো শট নেন অ্যান্ড্রু রবার্টসন। এক হাত দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস; কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল হেডে ফাঁকা জালে পাঠান সালাহ।
পাঁচ মিনিট পর আবারও এগিয়ে যেতে পারতো সফরকারীরা। তবে মিশরের মিডফিল্ডার ক্রেজেগের কোনাকুনি শট পোস্টের ভেতরের কানায় লেগে ফিরে আসে।
চার দিন বাদে আগামী বুধবার এই মাঠেই রিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকার লড়াইয়ে নামবে লিভারপুল। কঠিন সেই চ্যালেঞ্জে নামার আগে এই জয় আত্মবিশ্বাস জোগাবে দলটিকে। কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-১ গোলে হেরে পিছিয়ে আছে তারা।
অ্যাস্টনকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় আপাতত চতুর্থ স্থানে উঠেছে লিভারপুল। ৩১ ম্যাচে ১৫ জয় ও সাত ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৫২।
দিনের প্রথম ম্যাচে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হেরে গেছে শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে চলা ম্যানচেস্টার সিটি। ৩২ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা।
৩১ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে লিডস। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা অ্যাস্টন ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১০ নম্বরে।