নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে বুধবার লিগ ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা। রোনালদো স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান দিবালা। শেষ দিকে ব্যবধান কমান লরেন্সো ইনসিনিয়ে।
দুই ম্যাচ পর লিগে জয়ের স্বাদ পেল ইউভেন্তুস। গত রাউন্ডে তোরিনোর মাঠে ২-২ ড্রয়ের আগে নবাগত বেনেভেন্তোর বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল আন্দ্রেয়া পিরলোর দল।
প্রাথমিকভাবে গত ৪ অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল ম্যাচটি। কিন্তু দলের দুজন কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় এবং স্বাস্থ্য বিভাগের বিধিনিষেধের কারণে ম্যাচ খেলতে তখন তুরিনে যেতে পারেনি নাপোলি। ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেরি আর শৃঙ্খলা কমিটি তাদের ৩-০ গোলে হারের শাস্তি দেয়। একই সঙ্গে দলটির কেটে রাখা হয় ১ পয়েন্ট। পরে আপিল করে নাপোলি জিতলে শাস্তি প্রত্যাহারের পাশাপাশি পুনরায় ১৭ মার্চ ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু দুই দলের অনুরোধে তা পিছিয়ে যায় আরেক দফা।
গোলের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি তাদের। ত্রয়োদশ মিনিটে ফেদেরিকো চিয়েসা ডান দিকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল বাড়ান ডি-বক্সে। প্রথম স্পর্শে নিচু শটে সহজেই জাল খুঁজে নেন রোনালদো।
আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোর গোল হলো ২৬ ম্যাচে ২৫টি।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে কাছ থেকে জিওভান্নি দি লোরেন্সোর শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান ইউভেন্তস গোলরক্ষক জানলুইজি বুফ্ফন। পরের মিনিটে ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে কুয়াদরাদোর ক্রসে চিয়েসার হেড লক্ষ্যে থাকেনি। একটু পর ডি-বক্সে ভালো পজিশনে বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন কুয়াদরাদো।
৬৯তম মিনিটে আলভারো মোরাতা ও কুয়াদরাদোকে তুলে দিবালা ও ওয়েস্টন ম্যাককেনিকে মাঠে নামান ইউভেন্তুস কোচ। গত ১০ জানুয়ারি লিগে সাস্সুয়োলোর বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধে বাঁ হাঁটুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর থেকে বাইরে ছিলেন দিবালা।
বদলি নামার তিন মিনিট পরই জালের দেখা পান এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। রদ্রিগো বেন্তানকুরের পাস ডি-বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
২৯ ম্যাচে ১৭ জয় ও আট ড্রয়ে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠেছে ইউভেন্তুস। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে এসি মিলান দুইয়ে।
দিনের আরেক ম্যাচে সাস্সুয়োলোকে ২-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে ইন্টার মিলান। সমান ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭১।
৫৮ পয়েন্ট নিয়ে আতালান্তা চারে, ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে নাপোলি পাঁচে আছে।