নেইমার-এমবাপেকে ঠেকাতে পুরান কৌশলেই বায়ার্ন

নেইমারের ড্রিবলিং আর কিলিয়ান এমবাপের গতি হতে পারে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই পরীক্ষায় উতরানোর পথ অবশ্য ভালো করেই জানা আছে হান্স ফ্লিকের। অতীতে সাফল্য পাওয়া পথেই হাঁটবেন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ। পিএসজির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার দল খেলবে পুরান কৌশলেই। আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু থেকেই ম্যাচে আধিপত্য করতে চায় জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2021, 06:39 PM
Updated : 6 April 2021, 08:03 PM

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে বুধবার রাতে ঘরের মাঠে খেলবে শিরোপাধারীরা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।

গত বছর অগাস্টে ফাইনালে পিএসজিকে হারিয়েই ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল বায়ার্ন। প্যারিসের ক্লাবটির সেই দলেও ছিলেন এমবাপে-নেইমার জুটি। তবে সেদিন তাদের দারুণভাবে বেঁধে রাখতে পেরেছিল বায়ার্নের রক্ষণ।

সাফল্য পেতে এবারও একই কাজ করতে হবে তাদের। তবে সেটা যে সহজ হবে না, বুঝতে পারছেন ফ্লিক।

বায়ার্ন মিউনিখ কোচ হান্স ফ্লিক

“নতুন কোচ নিয়ে তারা এখন নতুন এক দল। আমার মনে হয় না, আসছে লড়াইয়ের সঙ্গে আগের ম্যাচের কোনো সম্পর্ক আছে। আমরা সেমি-ফাইনালে ও ফাইনালে উঠতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য।”

“তাদের রক্ষণ দৃঢ়, দারুণ একজন গোলরক্ষক আছে। সবচেয়ে বড় বিষয়, তাদের আক্রমণভাগ দারুণ শক্তিশালী।”

গত মৌসুমের মাঝপথে দায়িত্ব পেয়ে দলের কৌশল বদলে দেন ফ্লিক। রক্ষণভাগকে বেশ খানিকটা ওপরে তুলে আনেন, তাতে প্রতিপক্ষের খেলার জায়গা কমিয়ে সাফল্যও পান ঢের। গত মৌসুমে ট্রেবল জয়ের পর বছরে ছয় শিরোপার সবকটিতে জেতে বায়ার্ন।   

এবারও একই কৌশল আঁটছেন কি-না, তা অবশ্য পরিষ্কার করেননি তিনি। তবে প্রতিপক্ষকে শুরু থেকে চাপে রাখতে চান ৫৬ বছর বয়সী এই কোচ।

“তাদের দলে অনেক মেধাবী খেলোয়াড় আছে। বলের দখল হারালে খুব দ্রুত তাদের আটকাতে হবে। শুরুতে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।”

মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারিয়েছে বায়ার্ন। চোটে ছিটকে গেছেন গত বছরের বর্ষসেরা ফুটবলার ও এ মৌসুমেও দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা রবের্ত লেভানদোভস্কি। সেই তালিকায় যোগ হয়েছে উইঙ্গার সের্গে জিনাব্রি ও মিডফিল্ডার মার্ক রোকা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন জিনাব্রি আর চোট পেয়েছেন রোকা।

পিএসজিও হারিয়েছে বেশ কজনকে। কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন ডিফেন্ডার আলেস্সান্দ্রো ফ্লোরেন্সি ও মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তি।