বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে হওয়া এই প্রতিযোগিতায় শনিবার তৃতীয় দিনে ৫০টি (রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত) সোনার পদকের নিষ্পত্তি হয়।
শুটিং
শুটিংয়ে ২৫ মিটার র্যাপিড ফায়ার পিস্তল পুরুষ বিভাগে আর্মি শুটিং এসোসিয়েশনের রায়েহানুল ইসলাম ও ৫০ মিটার রাইফেল (৩ x ৪০) মহিলা বিভাগে সোনা জেতেন আর্মি শুটিং এসোসিয়েশনের আতকিয়া হাসান দিশা। ২৫ মিটার র্যাপিড ফ্রি পিস্তল পুরুষ বিভাগে ৪৯১ স্কোর করে সেরা হন রায়েহানুল। নেভি শূটিং ক্লাবের শেখ শাহাদত আহমেদ ৪৮৯ স্কোর করে রুপা ও কুমিল্লা রাইফেল ক্লাবের সেলিম আজাদ ৪৮০ স্কোর করে ব্রোঞ্জ পান।
৫০ মিটার রাইফেল ( ৩ x ৪০) মহিলা বিভাগে ১১২৩ স্কোর করে সেরা হন দিশা। ১১১২ স্কোর কম করে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের সুরাইয়া আকতার রুপা ও ১১০৯ স্কোর করে আর্মি শুটিং এসোসিয়েশনের নাফিসা তাবাসসুম ব্রোঞ্জ পান।
মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে নারী সেইবার ইভেন্টে সেরা হন গত এসএ গেমসে সোনা জয়ী নৌবাহিনীর ফাতেমা মুজিব। ফাইনালে সতীর্থ চাঁদনী আক্তারকে ১৫-১৪ পয়েন্টে হারান ফাতেমা।
পুরুষদের ফয়েল দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ৪৫-৩১ পয়েন্টে বাংলাদেশ আনসারকে হারিয়ে সেরা হয়। নৌবাহিনী হয়ে খেলেন মনির হোসেন, আসাদুজ্জামান নূর, রবিউল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম।
আর্মি স্টেডিয়ামে ১০০০ মিটার টাইম ট্রায়ালে ১ মিনিট ২০ দশমিক ৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফয়সাল হোসেন। ১ মিনিট ২৬ দশমিক ১০ সেকেন্ডে ২০১৭ সালে আগের রেকর্ডটি করেছিলেন একই দলের একরামুল ইসলাম।
নারীদের ৫০০ মিটার টাইম ট্রায়ালে ৪৫ দশমিক ৪৭ সেকেন্ডে নতুন রেকর্ড গড়ে সেরা হন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নিশি খাতুন। রুপা জয়ী সেনাবাহিনীর সমাপ্তি বিশ্বাস ৪৫ দশমিক ৫১ সেকেন্ড সময় নেন। পুরুষদের এলিমেশন রেসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মুক্তাদুর আল হাসান প্রথম হন।
পুরুষদের ১২০০ মিটার অলিম্পিক স্প্রিন্টে সেনাবাহিনীর বিশ্বাস ফয়সাল হোসাইন, আলমগীর হোসেন ও মুক্তাদুর আল হাসান ১ মিনিট ৩৬ দশমিক ২২ সেকেন্ডে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ে সোনা জয় করেন। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৮ সালে ১ মিনিট ৪০ দশমিক ৬৬ সেকেন্ডের।
নারীদের ৮০০ মিটার অলিম্পিক স্প্রিন্টে ১ মিনিট ১১ দশমিক ১৩ সেকেন্ডে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন সেনাবাহিনীর শিল্পি খাতুন ও সমাপ্তি বিশ্বাস। এই ইভেন্টে আগের রেকটি ছিল ২০১৮ সালে ১ মিনিট ১৭ দশমিক ৬২ সেকেন্ডের।
কুস্তি
কুস্তিতে বাংলাদেশ আনসার তিনটি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি সোনা জয় করে। ৫৩ কেজি ওজন শ্রেনীতে আনসারের মাশিনু মারমা, ৫৭ কেজি ওজন শ্রেনীতে রেজিয়া সুলতানা ও ৬২ কেজি ওজন শ্রেনীতে শুকান্তি বিশ্বাস সেরা হন। ৫৯ কেজি ওজন শ্রেনীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শারমিন আক্তার সোনা জয় করেন।
বাস্কেটবল
ধানমন্ডি বাস্কেটবল জিমনেসিয়ামে নারী বাস্কেটবলে চার ম্যাচের সবগুলো জিতে সেরা হয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় নারী বাস্কেটবল দল। রংপুর বিভাগ রুপা ও খুলনা বিভাগ পায় ব্রোঞ্জ।
র্যাপিড দাবা
র্যাপিড দাবায় সেরা হন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান ও মহিলা ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার রানী হামিদ। পুরুষ একক র্যাপিড দাবায় র্যাপিড দাবার পুরুষ বিভাগে ইন্টারন্যাশনা মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান রুপা ও গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ব্রোঞ্জ পান। মেয়েদের বিভাগে মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম রুপা এবং মহিলা ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার শারমীন সুলতানা শিরিন ব্রোঞ্জ পান।
বডি বিল্ডিং
বডি বিল্ডিংয়ে মেনস ফিজিক ১৭৩+ উচ্চতা শ্রেণীতে রাজশাহী গোল্ডেন জিমের রফিকুল ইসলাম সেরা হন। মেনস সিনিয়র ফিজিক বডিবিল্ডিং ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে প্রথম হন বাংলাদেশ আনসারের মো. মুন্না ও মেনস সিনিয়র ফিজিক বডিবিল্ডং ৬০ কেজি ওজন শ্রেণীতে বাংলাদেশ আনসারের কবিরাজ মো. নাজিম খান।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমন্যাশিয়ামে ব্যক্তিগত ভলটিং টেবিলে ১০ দশমিক ৬২৫ স্কোর করে প্রথম হন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সাবিনা ইয়াসমিন শিমলা। ছেলেদের পোমেল হর্সে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজের রাজিব চাকমা ১০.৯০ স্কোর করে সেরা হন। স্টিল রিংসে সোনা জয় করেন শিশির, আনইভেন বারে সোনিয়া আক্তার।
টেবিল টেনিস
শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে টেবিল টেনিসের পুরুষ দলগত পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ পুলিশ দ্বিতীয় পর্বের তিনটি ম্যাচেই জিতে জয় করে সোনা। দলগত মহিলা বিভাগে সেরা হয় বাংলাদেশ আনসার।