গোল নিয়ে বিতর্ক এড়াতে পারত সার্বিয়া ও পর্তুগাল: উয়েফা

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সার্বিয়া-পর্তুগাল ম্যাচের শেষ সময়ে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ‘বৈধ গোল’ বাতিল হয়ে যাওয়ায় যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তা এড়ানো যেত বলে মন্তব্য করেছে উয়েফা। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটির ভাষ্য, ম্যাচে গোল লাইন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে দেশ দুটির ফুটবল ফেডারেশন একমতে পৌঁছালেই এমন কিছু হতো না।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2021, 02:39 PM
Updated : 29 March 2021, 02:39 PM

ইউরোপিয়ান অঞ্চলের ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গত শনিবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়।

বিতর্কিত মুহূর্তটি ম্যাচের যোগ করা সময়ের। রোনালদোর শটে বল গোলরক্ষকের গায়ে লেগে যাচ্ছিল গোললাইন পেরিয়ে। ছুটে গিয়ে ক্লিয়ার করেন সার্বিয়ার এক খেলোয়াড়। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রেফারি গোল দেননি।

গোললাইন প্রযুক্তি অথবা ভিএআরের সুবিধা না থাকাতেই মূলত এই সমস্যা। গোল না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোয় হলুদ কার্ড দেখেন রোনালদো। এরপর শেষ বাঁশি বাজার কয়েক সেকেন্ড আগে আর্ম ব্যান্ড ছুড়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।

এ নিয়ে এখনও চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এরই মাঝে সোমবার উয়েফা এই মন্তব্য করল।

“ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাইয়ে গোললাইন প্রযুক্তির ব্যবহার নির্ভর করে প্রতি ম্যাচের স্বাগতিক দেশের ফুটবল সংস্থার ওপর। তারা এটি ব্যবহার করতে চাইলে সফরকারী দলের কাছ থেকে নিতে হয় লিখিত অনুমতি।”

ডাচ ম্যাচ রেফারি ডেনি মাকেলি সোমবার পর্তুগিজ পত্রিকা আ বোলাকে বলেন, তিনি পর্তুগাল কোচ ফের্নান্দো সান্তোস ও দলের বাকি সদস্যদের কাছে ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।

“যা ঘটেছে তার জন্য কোচ ও দলটির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি আমি। রেফারি হিসেবে আমরা সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কঠোর পরিশ্রম করি। এমন কোনো কারণে খবর হওয়াটা আমাদের জন্য মোটেও আনন্দদায়ক না।”

এই ধরনের প্রতিযোগিতায় ভিএআর না থাকায় সার্বিয়া ম্যাচ শেষে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সান্তোস। ওই দিনই উয়েফা জানিয়েছিল, মূলত করোনাভাইরাসের কারণেই বাছাইপর্বে এই প্রযুক্তি ব্যবহার অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

দুই ম্যাচ শেষে সমান ৪ করে পয়েন্ট সার্বিয়া ও পর্তুগালের। গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে সার্বিয়া। ফিরতি পর্বে আগামী ১৪ নভেম্বর মুখোমুখি হবে দল দুটি, পর্তুগালের মাঠে।