কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শনিবার স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল উঠেছে ডের দল। দুই ড্রয়ে শিরোপা লড়াইয়ে উঠেছে নেপাল। আগামী সোমবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে এ দুই দল।
ফাইনালের আগে জয় ও গোল চাওয়া ছিল কোচের। মেলেনি কোনোটাই। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পাঠানো বার্তায় ডে জানিয়েছেন গোল সমস্যার কারণ।
“কেবল বাংলাদেশ নয়, আমার মনে হয় এশিয়ার সব দলেরই সমস্যা গোল স্কোরিং। নেপাল এখনও গোল পায়নি। কিরগিজস্তানও গোল করতে পারেনি। তাই আমি মনে করি, এটা কেবল বাংলাদেশের সমস্যা নয়। আমার মনে হয়, এখানে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা হচ্ছে। আশা করি, ফাইনাল ম্যাচে গোল হবে।”
কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে মতিন মিয়া, মেহেদী হাসান রয়েলরা গোল পাননি। নেপাল ম্যাচে সুমন রেজা, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহরাও ব্যর্থ। তবে ফরোয়ার্ডদের নিয়ে খুশি ডে।
“ফরোয়ার্ডরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছে। যদিও তারা গোলের তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি, কিন্তু আমি সন্তুষ্ট। আমাদের লক্ষ্যই ছিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। কার কি অবস্থা সেটা দেখেছি, কে কত ভালো করেছে, সেটা দেখে সামনের ম্যাচের একাদশের সিদ্ধান্ত নিব।”
“এটা কঠিন ম্যাচ ছিল। দর্শকের সমর্থন নেপালের পক্ষে ছিল। তারা খুবই ভালোভাবে রক্ষণ সামলেছে। আমরা খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারিনি, কিছু সুযোগ তৈরি করেছি।”
দ্বিতীয়ার্ধের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় ছিল না বাংলাদেশের। ফাইনালের আগে এই সমস্যাগুলো শুধরে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিলেন কোচ।
“দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ডিরেক্ট খেলার চেষ্টা করেছি, এটাই আমাদের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু যারা বদলি নেমেছিল, তারা মানিয়ে নিতে সময় নেওয়ায় আমরা পজিশন হারিয়েছিলাম। সামনের ম্যাচ থেকে এ সমস্যা আমাদের দূর করতে হবে। এখানে আসার আগে আমরা চেয়েছিলাম ২৩ জন খেলোয়াড়কেই খেলাতে। নতুনদের সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম। সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে।”