প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার লা লিগার ম্যাচটি ৩-১ গোলে জেতে রিয়াল। জোড়া গোলের পাশাপাশি মার্কো আসেনসিওর করা দলের তৃতীয় গোলেও বড় ভূমিকা ছিল বেনজেমার।
ম্যাচ শেষে জিদানের সংবাদ সম্মেলনে তাই স্বাভাবিকভাবেই ওঠে জয়ের নায়ক বেনজেমা প্রসঙ্গ। কোচও প্রিয় শিষ্যকে মনখুলে ভাসালেন প্রশংসায়।
“যারা ফুটবল ভালোবাসে তাদের কাছে করিমের খেলা দেখা আনন্দের। সবাই তার খেলা উপভোগ করে এবং সতীর্থরা তার সঙ্গে খেলতে পছন্দ করে। আমরা আশা করি, এভাবেই সে ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিবে। সেই সঙ্গে তার সতীর্থরাও যে দলে গুরুত্বপূর্ণ, তাও সে জানে।”
আগের দুই লিগ ম্যাচেও বেনজেমার গোলে রক্ষা পেয়েছিল রিয়াল। শেষ সময়ে তার গোলেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে হার এড়িয়েছিল সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের দলটি। এরপর এলচের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও তার জোড়া গোলে জয় পায় জিদানের দল।
এরপর গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে আতালান্তার বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জয় পাওয়া ম্যাচেও দলের প্রথম গোলটি করেছিলেন বেনজেমা।
সেল্তার বিপক্ষে ম্যাচের ২০তম মিনিটে টনি ক্রুসের পাস ডি-বক্সে ধরে কোনাকুনি শটে দলকে এগিয়ে নেন বেনজেমা। ১০ মিনিট পর আবারও ক্রুসের সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুন করেন তিনি।
প্রথমার্ধেই একটি গোল শোধ করেন সান্তি মিনা। তবে ব্যবধান ধরে রেখে খেলতে থাকা স্বাগতিকরা যোগ করা সময়ে জয় নিশ্চিত করে বেনজেমার নৈপুণ্যেই। হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তুলনামূলক ভালো পজিশনে গোলদাতা আসেনসিওকে বল বাড়ান তিনি।
আরও ভালো করার ইচ্ছাশক্তিই বেনজেমাকে এই পর্যায়ে এনেছে বলে মনে করেন জিদান।
“আজ (শনিবার) সে যা করেছে তা অসাধারণ। আমি তাকে নিয়ে খুশি, কারণ সে সত্যিকারের দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ এবং সবসময় সে চায় আরও বেশি কিছু করতে।”
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ছয় ম্যাচেই জালের দেখা পেলেন বেনজেমা। লা লিগায় ১৭ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় আছেন তৃতীয় স্থানে। ২১ গোল নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
তবে এমন দুর্দান্ত ফর্মে থাকার পরও রিয়ালের অধিকাংশ খেলোয়াড়দের মতো জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হয় না বেনজেমার।
ফ্রান্সের হয়ে বেনজেমা সবশেষ খেলেছিলেন ২০১৫ সালের অক্টোবরে। আর্মেনিয়ার বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে ফরাসিদের জয় পাওয়া সেই ম্যাচে জোড়া গোলের পাশাপাশি একটি গোলে সহায়তা করেছিলেন তিনি।
এর কিছুদিন পরই বেনজেমার বিরুদ্ধে জাতীয় দলের সতীর্থ মাথিউ ভালবুয়েনাকে ‘সেক্স টেপ’ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে, ওই বছরের ডিসেম্বরে ফ্রান্স দল থেকে তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
জিদান অবশ্য বেনজেমাকে জাতীয় দলের বাইরে রাখার কারণ বুঝতে পারেন না।
“আমি বিষয়টা বুঝি না, অনেকেই বোঝে না। তবে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে বলা যায়, এটা আমাদের জন্য ভালোই।”
লা লিগায় শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩ পয়েন্টে পিছিয়ে রিয়াল। ২৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬০।
এক ম্যাচ কম খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো। সমান ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে বার্সেলোনা।