রিয়ালের হয়ে টানা তৃতীয় ও মোট চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর ২০১৮ সালে ১০ কোটি ইউরোর ট্রান্সফার ফিতে ইউভেন্তুসে যোগ দেন রোনালদো। ওই গ্রীষ্মেই পদত্যাগ করেন কোচ জিদানও। ৯ মাস পরেই অবশ্য আবারও পুরনো রূপে ফেরেন মাদ্রিদের দলটিতে।
১৯৯৫-৯৬ আসরের পর থেকে প্রথম ইউরোপিয়ান সাফল্যের খোঁজে থাকা ইউভেন্তুসও রোনালদোকে দলে টানার জন্য ছিল ব্যাকুল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সাফল্য পেতেই মূলত চড়া মূল্যে পাঁচবারের বর্ষসেরাকে দলে টেনেছিল তুরিনের দলটি।
কিস্তু সাফল্য মেলেনি। সবশেষ এবারের আসরের শেষ ষোলো থেকে তারা বিদায় নিয়েছে পোর্তোর বিপক্ষে হেরে। লিওঁর বিপক্ষে হেরে গত আসরেও একই পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা। ইতালিতে পর্তুগিজ তারকার প্রথম মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইউভেন্তুসের যাত্রা থামে শেষ আটে আয়াক্সের বিপক্ষে হেরে।
তবে দলটির এবারের বিদায়ে অনেকে রোনালদোর দিকে তুলছেন অভিযোগের আঙুল। ওদিকে রোনালদো চলে আসায় রিয়ালেও তার শূন্যতা ফুটে উঠেছে বারবার। দুইয়ে মিলে ৩৬ বছর বয়সীর সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ফেরা নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন।
সেই গুঞ্জনের কতটা সত্যি? সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসের করা এমন প্রশ্নের মুখে ইতিবাচক উত্তর দিলেন জিদান।
“হ্যাঁ, হয়তো এটা সত্যি। আমরা ক্রিস্তিয়ানোকে চিনি। জানি সে ব্যক্তি হিসেবে কেমন এবং এখানে (রিয়ালে) সে কী করেছে।”
“কিন্তু সে এখন ইউভেন্তুসের খেলোয়াড় এবং আমাদের বিষয়টিকে সম্মান করতে হবে…দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়। তাকে কোচিং করাতে পেরে আমি ভাগ্যবান। এখন সে ইউভেন্তুসকে সাহায্য করছে।”
গত রোববার ইউভেন্তুসের সিইও ফাবিও পারাতিসি অবশ্য চলমান গুঞ্জন উড়িয়ে বলেন, রোনালদোকে নিয়েই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজাবেন তারা।