সালাহ-মানের গোলে শেষ আটে লিভারপুল

প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করা লিভারপুল বিরতির পর সাফল্য পেল। পাঁচ মিনিটের মধ্যে করল দুই গোল। লাইপজিগকে আবার হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2021, 09:55 PM
Updated : 10 March 2021, 10:30 PM

বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় বুধবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। একটি করে গোল করেন আক্রমণভাগের দুই তারকা মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে।

দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলে এগিয়ে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিল লিভারপুল। প্রথম লেগেও একটি করে গোল করেছিলেন সালাহ ও মানে।

ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ভ্রমণের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে বুদাপেস্টে সরিয়ে নেওয়া হয়। একই কারণে প্রথম লেগের ম্যাচও হয়েছিল এই মাঠে।

দশম মিনিটে প্রথম সুযোগটি তৈরি করে লাইপজিগ। দানি ওলমোর নিচু শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে এ যাত্রায় লিভারপুলের ত্রাতা গোলরক্ষক আলিসন।

২০তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ক্লপের দল। কর্নারে দিয়োগো জোতার জোরালো হেডে এক হাতে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান গোলরক্ষক।

চার মিনিট পর সুবর্ণ সুযোগ আসে সালাহর সামনে। নিজেদের অর্ধ থেকে থিয়াগোর বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন মিশরের এই ফরোয়ার্ড। ফিরতি বলে কাছ থেকে ঠিকমতো হেড করতে পারেননি মানে।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন জোতাও। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ক্লিয়ার করার চেষ্টায় বল ছয় গজ বক্সের কোনায় ফাঁকায় পান তিনি। কিন্তু শট নেন পাশের জালে।

৬৫তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি লাইপজিগ। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে আলেকসান্দের সরলথের হেড লাগে ক্রসবারে।

অবশেষে ৭০তম মিনিটে গোলের অপেক্ষা ফুরোয় লিভারপুলের। জোতার পাস ধরে ডি-বক্সে জায়গা বানিয়ে বাঁ পায়ের নিচু শটে দলকে এগিয়ে নেন সালাহ।

আর ৭৪তম মিনিটে ডান দিক থেকে দিভোক ওরিগির ক্রসে কাছ থেকে প্রথম স্পর্শে ঠিকানা খুঁজে নেন মানে। 

ঘরোয়া ফুটবলে টানা বাজে পারফরম্যান্সে লিভারপুলের লিগ শিরোপা ধরে রাখার আশা শেষই বলা যায়। ইউরোপের মঞ্চে সেই দলেরই আবার ভিন্ন রূপ; তিন বছরে দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্নে এগিয়ে চলেছে তারা। গতবারের সেমি-ফাইনালিস্টদের বিপক্ষে দুই লেগেই জয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস নিশ্চিতভাবেই বাড়ল বহুগুণে।