প্যারিসে বুধবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। প্রথম লেগে ৪-১ গোলে জয়ী পিএসজি দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে এগিয়ে পা রাখল পরের ধাপে।
মেসিকে ঘিরে আরও একবার অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিল বার্সেলোনা। ব্যবধান অনেক বড় হলেও যতগুলো সুযোগ তারা পেয়েছিল, তার অর্ধেকও কাজে লাগাতে পারলে লড়াইটা হতো জমজমাট। কিন্তু উসমান দেম্বেলের পাশাপাশি সুযোগ নষ্টের মিছিলে যোগ দেন মেসিও।
১৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো বার্সেলোনা।
এর ধারাবাহিকতায় অষ্টাদশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ সুযোগ পায় দলটি। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে দেম্বেলের নেওয়া কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে ফেরান কেইলর নাভাস। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে ২৩তম মিনিটে আবারও বেঁচে যায় পিএসজি; লেইভিন কুরজাওয়াকে ফাঁকি দিয়ে ডান দিক থেকে সের্জিনো দেস্তের নেওয়া শটে বল নাভাসের হাতে লেগে ক্রসবারে বাধা পায়। পরের মিনিটে দেম্বেলের বাড়ানো ক্রসে মেসি পা লাগাতে ব্যর্থ হলে হতাশা বাড়ে বার্সেলোনার।
খেলার ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যায় পিএসজি। ২৮তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ক্রস বাড়ান কুরজাওয়া, বল সরাসরি গোলররক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের হাতে। কিন্তু এর ফাঁকে ডি-বক্সে ক্লেমোঁ লংলের বাধায় পড়ে যান মাউরো ইকার্দি। ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন প্রথম লেগে হ্যটিট্রিক করা এমবাপে।
বিরতির আগে ব্যবধান আরও কমানোর সুযোগ পান মেসি। কিন্তু তার দুর্বল স্পট কিক রুখে দেন নাভাস। বল তার পায়ে লেগে লাগে ক্রসবারে। ডি-বক্সে অঁতোয়ান গ্রিজমান ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল সফরকারীরা।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঢিমেতালে শুরুর মাঝে ৬১তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মেসি। সতীর্থের পাস ছয় গজ বক্সের মুখে ফাঁকায় পেয়ে শট নিতে একটু দেরি করে ফেলেন তিনি, পরে বিলম্বিত শটটি ছুটে এসে ব্লক করেন মার্কিনিয়োস। আট মিনিট পর সের্হিও বুসকেতসের হেড দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন নাভাস।
শেষ দিকের খেলা আরও ঝিমিয়ে পড়ে। কারো মধ্যেই দেখা যায়নি গোল করার তাড়া। ড্র ম্যাচে জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে প্রতিযোগিতার গতবারের রানার্সআপ পিএসজি।