নতুনদের পরখ নেওয়াই জেমি ডের মূল লক্ষ্য

চোট আর অফফর্মের কারণে নেপালের ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞদের অনেকে। নতুন ঠাঁই পেয়েছেন পাঁচজন। দলে ফিরেছেনও পাঁচজন। আগামী জুনের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে নজর রেখে এই নতুনদের পরখ করে নিতে চাইছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2021, 01:30 PM
Updated : 9 March 2021, 01:30 PM

গত ৪ ডিসেম্বরে কাতারের বিপক্ষে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে সবশেষ ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। নেপালের প্রতিযোগিতার দলে জায়গা পাননি ওই ম্যাচের দলে থাকা নাবীব নেওয়াজ জীবন, তপু বর্মন, ইয়াসিন খান, পাপ্পু হোসেন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, এসএম বাবলু, তৌহিদুল আলম সবুজ, রবিউল ইসলাম ও আতিকুর রহমান ফাহাদ।

চোট কাটিয়ে ফিরেছেন মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনি। ফেরার তালিকায় আছেন ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া, গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল, ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা ও উইঙ্গার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

পাঁচ নতুন মুখ ডিফেন্ডার রিমন হোসেন, মোহাম্মদ ইমন, মেহেদী হাসান ও হাবিবুর রহমান সোহাগ এবং ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান রয়েল। নেপাল ও কিরগিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে নতুন ও ফেরাদের যাচাই করে নেওয়া মূল লক্ষ্য বলে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন ডে।

“যাদের বাছাই করেছি, দেখতে চাই জাতীয় দলে খেলার জন্য তারা যথেষ্ট ভালো কিনা। নেপালে আমি সবগুলো ম্যাচ জিততে চাই কিন্তু হার নিয়েও আমি চিন্তিত না। আমার মূল লক্ষ্য জুনের বিশ্বকাপ বাছাই।”

“অতীতে যারা দলে খেলেছে, তাদের চেয়ে নতুন ১০ জন ভালো কিনা, সেটা যাচাই করার সুযোগ আমার সামনে। যদি তারা ভালো হয়, তাহলে জুনের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে সুযোগ পাবে। যদি ভালো না হয়, তাহলে অতীতে যারা ভালো ছিল, তাদেরকে নির্বাচন করব।”

রক্ষণে তপু, ইয়াসিন এবং আক্রমণভাগে জীবন, সবুজদের মতো অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতি নিয়ে ‍খুব একটা চিন্তিত নন কোচ। নতুনদেরকে জাতীয় দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, নিজের কৌশলটা রপ্ত করানোর দিকেই মূল মনোযোগ তার।

“তপু, ইয়াসিন, জীবন, সবুজের মতো যারা পুরান, তাদেরকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াটা শেখানোর প্রয়োজন নেয়; তারা সেটা জানে। আমার কাজ হচ্ছে সবার মধ্যে সমন্বয় করা এবং নতুন যারা আসছে, তাদেরকে বোঝানো আমরা কীভাবে খেলি, কীভাবে ডিফেন্ড করি, সেটা শেখানো নিশ্চিত করা।”

“নতুন যারা আক্রমণভাগে খেলবে, তাদের ভালোভাবে জানা দরকার সুযোগ তৈরির মুভমেন্ট কোনটা। আমার কাজ অনুশীলনে তাদের সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়া। হাতে অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই এবং এ কারণে আমাদের পরিকল্পনা মানসিকভাবে তাদের জাতীয় দলের জন্য তৈরি করা।”