গত মাসে প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পোর্তোর মাঠে ২-১ গোলে হারে ইউভেন্তুস। ঘরের মাঠে মঙ্গলবার ফিরতি পর্বে ন্যূনতম ১-০ গোলে জিতলে অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে শেষ আটে উঠবে পিরলোর দল।
মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের কথা মাথায় রেখেই গত শনিবার লিগে লাৎসিওর বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে রোনালদোকে বিশ্রামে রেখেছিলেন ইউভেন্তুস কোচ। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় আগের দুই আসরেও পর্তুগিজ তারকার কাঁধে ভর দিয়ে শেষ ষোলোর বৈতরণী পার হয়েছিল সেরি আর দলটি।
গত আসরে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে অলিম্পিক লিঁওর মাঠে ১-০ গোলে হারের পর ফিরতি পর্বে রোনালদোর জোড়া গোলে পার পেয়েছিল ইউভেন্তুস। তার আগের মৌসুমে একই পর্বে আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে ২-০ গোলে হারের পর ফিরতি পর্বে ঘরের মাঠে তারা ৩-০ গোলের সমীকরণ মিলিয়েছিল পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের হ্যাটট্রিকে।
২০১৮-১৯ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ইউভেন্তুসে যোগ দেওয়ার পর দলটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে ১০ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। এসময় প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে তার চেয়ে বেশি গোল করেছেন কেবল বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি, ১৪টি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড গোলদাতা রোনালদো সেরি আয়ও আছেন দারুণ ছন্দে। ইউভেন্তুসের টানা দশম লিগ শিরোপা জয়ের মিশনে করেছেন সর্বোচ্চ ২০ গোল।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তাই রোনালদোর ওপরেই আস্থা রাখার কথা জানালেন পিরলো।
“এগুলো ক্রিস্তিয়ানোর ম্যাচ, সে তা সবসময় প্রমাণ করেছে। ইদানিং সে বিশেষ এক ধরনের অনুশীলন করছে। সে ফুরফুরে আছে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত।”
পোর্তো ম্যাচের আগে ঘুরেফিরে আসছে আরও একটি বিষয়। ইউরোপিয়ান সাফল্য পেতেই টানা নবম লিগ শিরোপা এনে দেওয়ার পরও গত মৌসুম শেষে ছাঁটাই হতে হয়েছিল মাওরিসিও সাররিকে। তাই পোর্তোর বিপক্ষে হেরে ছিটকে পড়লে ইউভেন্তুসে পিরলোর ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে না তো?
ইতালির বিশ্বকাপজয়ী এই সাবেক মিডফিল্ডার অবশ্য তেমনটি মনে করেন না।
“আমি মনে করি না, আগামীকালের (মঙ্গলবার) ম্যাচ দিয়ে আমার কাজ মূল্যায়ন করা হবে। আমার পরিকল্পনা কী ও ক্লাব কি অবস্থায় আছে, তা জেনেই আমি কাজ করছি।”
“আগামীকাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আমাদের একটি ভাগ্য নির্ধরণী ম্যাচ। আমাদের কাছে এটা ফাইনালের মতো, তবে তাদের জন্যও ম্যাচটি একই রকম গুরুত্বপূর্ণ।”