কলম্বিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফের্নান্দো রুইস এক বিবৃতিতে শুক্রবার জানান, কোনোভাবেই ব্রাজিল থেকে কেউ আসতে পারবে না।
“ব্রাজিল থেকে কোনো ধরণের ফ্লাইট আসার সুযোগ নেই। চার্টার ফ্লাইটও আসার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই।”
আগামী ২৫-২৬ ও ৩০ মার্চ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই লেগের ম্যাচ সূচি অনুযায়ী মাঠে গড়াবে কিনা তা নিয়ে যখন দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল) ও ফিফার মধ্যে আলোচনা চলছে, এর মধ্যে এই সিদ্ধান্ত জানালো কলম্বিয়া।
দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলারদের বিশাল এক অংশ খেলে ইউরোপের ক্লাবগুলোয়। কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধের কারণে তারা খেলোয়াড়দের ছাড়তে চাইছে না।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে এমন দেশগুলোকে ‘লাল তালিকাভুক্ত’ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার, সেই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দশটি দেশও। খেলোয়ড়দের জন্যও নেই কোনো ছাড়। যুক্তরাজ্যে খেলা খেলোয়াড়দের সেখান থেকে ফিরে নির্দিষ্ট হোটেলে ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক। এই কারণেই মূলত প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো খেলোয়াড়দের ছাড়তে চাইছে না।
ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত জানুয়ারির শেষ দিকে দেশটির সঙ্গে সব ধরণের ফ্লাইট বাতিল করে কলম্বিয়া।
গত বুধবার ব্রাজিলে মারা গেছে প্রায় এক হাজার ৯১০ জন, এক দিনে যা সর্বোচ্চ। দক্ষিন আমেরিকান দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছে দুই লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ, যুক্তরাষ্ট্র বাদে বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় যা সর্বোচ্চ।
সমস্যা সমাধানে গত শুক্রবার আলোচনায় বসেছিল কনমেবলের সদস্য দেশগুলো। শনিবার ফিফার সঙ্গে আলোচনায় বসবে তারা। সেখানে লাতিন খেলোয়াড়দের ব্যাপারে ইউরোপের ক্লাবগুলোর অবস্থান নিয়েও কথা বলবে কনমেবল।