ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে শনিবার ২-০ গোলে হেরেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। রিশার্লিসন এভারটনকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান গিলফি সিগুর্দসন।
আসরে এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে হারল লিভারপুল। ঘরের মাঠেও লিগে হারল টানা চার ম্যাচ, ১৯২৩ সালের পর প্রথম।
১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম লিগ ম্যাচে অ্যানফিল্ড থেকে জয় নিয়ে ফিরল এভারটন। সেবার ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
২০১০ সালের পর এই প্রথম লিভারপুলের বিপক্ষে আগে গোল দিল এভারটন। সেবারই সবশেষ মার্সিসাইড ডার্বিতে জিতেছিল দলটি।
২০তম মিনিটে সমতায় ফিরিতে পারতো স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের মাথা থেকে জর্ডান হেন্ডারসনের জোরালো ভলি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। একটু পর ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের শটে লাফিয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল পাঠান তিনি।
৩৩তম মিনিটে দ্বিগুণ হতে পারতো সফরকারীদের ব্যবধান। লুকাস দিনিয়ের ক্রসে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে সিমাস কোলম্যানের জোরালো হেড ফিরিয়ে দেন আলিসন।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে আধিপত্য ছিল লিভারপুলের। ৬৮তম মিনিটে জেরদান শাচিরির পাস ধরে মোহামেদ সালাহর শট এগিয়ে এসে রুখে দেন পিকফোর্ড।
৮৩তম মিনিটে স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরার আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়। সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা সিগুর্দসন। ডমিনিক ক্যালভার্ট-লুইনের শট প্রথমে ঠেকান আলিসন, কিন্তু বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এভারটন ফরোয়ার্ডকে তিনি ফাউল করে বসলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
২৫ ম্যাচে সপ্তম হারের স্বাদ পাওয়া লিভারপুল ৪০ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে। এক ম্যাচ কম খেলে ১২ জয় ও চার ড্রয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে এভারটন।
অন্য ম্যাচে সাউথ্যাম্পটনের সঙ্গে ১-১ ড্র করা চেলসি ২৫ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে।
২৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ৪৬ পয়েন্ট করে নিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দুইয়ে ও লেস্টার সিটি তিনে আছে।