তবে, শেষ দিকে মূল্যবান একটি অ্যাওয়ে গোল আদায় করে নিয়েছে দুবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের মাঠে বুধবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেছে পোর্তো।
সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা দুই ম্যাচ হারল ইউভেন্তুস। আর জয়হীন রইলো টানা তিন ম্যাচ।
রদ্রিগো বেন্তানকুরের অবিশ্বাস্য ভুলে ম্যাচের ৬৩ সেকেন্ডের মাথায় গোল হজম করে ইউভেন্তুস। সতীর্থের ব্যাকপাস পেয়ে গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি ডি-বক্সের মুখে বাড়ান বেন্তানকুরকে। উরুগুয়ের এই মিডফিল্ডার কি ভেবে স্ট্যাসনিকেই ফিরতি পাস বাড়ান, তবে লক্ষ্য ঠিক ছিল না। কাছেই দাঁড়ানো মেহেদি তারেমি ছুটে গিয়ে বল পাঠান জালে।
পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়াবে কী, উল্টো প্রতিপক্ষের চাপে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে ইউভেন্তুস। নিজেদের সীমানায় বারবার ভুল করতে থাকে তারা। ২৩তম মিনিটে তেমনি স্ট্যাসনির ভুলে আবারও বিপদে পড়তে পারতো তারা; এ যাত্রায় অবশ্য সের্জিও অলিভেইরার শট ডিফেন্ডার মাটাইস ডি লিখটের পায়ে লেগে দিক পাল্টে বাইরে যায়।
৪২তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় ইউভেন্তুস। ফরাসি মিডফিল্ডার আদ্রিওঁ রাবিওর ওভারহেড কিক ঝাঁপিয়ে ফেরান আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক আগুস্তিন মারচেসিন।
দ্বিতীয়ার্ধের ১৯ সেকেন্ডের মাথায় দ্বিতীয় গোল হজম করে ইউভেন্তুস। ডান দিক থেকে উইলসন মানাফার পাস ডি-বক্সে দুই ডিফেন্ডারের মাঝে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দ্বিতীয় স্পর্শে নিচু শটে বল জালে পাঠান মালির ফরোয়ার্ড মুসা মারেগা।
প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়ে থাকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো খানিক পর দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করেন, তবে মারচেসিনকে খুব একটা ভাবাতে পারেননি তিনি। ৬৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে মানুয়েল করোনার ওভারহেড কিক কর্নারের বিনিময়ে ফেরান স্ট্যাসনি।
৮২তম মিনিটে মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলটি পায় ইউভেন্তুস। বাঁ দিক থেকে রাবিওর ক্রস ডি-বক্সে ডান দিকে ফাঁকায় পেয়ে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফেদেরিকো চিয়েসা।
ইউভেন্তুসের খেলোয়াড়দের চোখে-মুখে ছিল অসেন্তোষের ছাপ। সাইডলাইনে ম্যাচ অফিসিয়ালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় ইউভেন্তুস কোচ আন্দ্রেয়া পিরলোকে। তবে শেষ বাঁশি বাজার পর নতুন কিছু হওয়ার ছিল না।
অপেক্ষা এখন ফিরতি লেগের। আগামী ৯ মার্চ ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জে নামবে ইউভেন্তুস। আর এই জয়কে সঙ্গী করে পোর্তোর লক্ষ্য থাকবে ব্যবধান ধরে রাখার।