আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে রোববার লা লিগার ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে জিনেদিন জিদানের দল। করিম বেনজেমার নৈপুণ্যে দলটি এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন টনি ক্রুস।
টানা তৃতীয় জয়ে বার্সেলোনাকে হারিয়ে আবারও পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে ফিরল রিয়াল। ২৩ ম্যাচে ১৫ জয় ও চার ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৪৯। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে এক ম্যাচ কম খেলা কাতালান ক্লাবটি।
গত নভেম্বরে লিগে ভালেন্সিয়ার মাঠে ৪-১ গোলে হেরেছিল রিয়াল। এবার তেমন কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি লিগ টেবিলের ১২ নম্বর দলটি।
ম্যাচের শুরু থেকে তাদের খেলায় ছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। দ্বাদশ মিনিটে বেনজেমার দারুণ নৈপুণ্যে এগিয়েও যায় তারা। ক্রুসের পাস বাঁ দিকে পেয়ে দ্বিতীয় ছোঁয়ায় জায়গা বানিয়ে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে শেষ পাঁচ ম্যাচে বেনজেমার গোল হলো ৬টি। আসরে তার গোলসংখ্যা ১২।
এগিয়ে থাকার আনন্দ থাকলেও খানিক পরই নতুন ধাক্কা হয়ে আসে কারভাহালের আবারও ছিটকে পড়া। বল ধরতে গিয়ে অস্বস্তি বোধ করেন এই স্প্যানিয়ার্ড, তার চোখে-মুখে ছিল ব্যথার ছাপ। ২৬তম মিনিটে তার বদলি নামেন চোট কাটিয়ে ফেরা লুকাস ভাসকেস।
দারুণ পাসিং ফুটবলে গড়া আক্রমণে ৪২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। ডান দিক দিয়ে লুকা মদ্রিচের বাড়ানো পাস ভাসকেস পেয়ে কাটব্যাক করেন ক্রুসকে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো নিচু শটে গোলটি করেন জার্মান মিডফিল্ডার।
রিয়ালের বিপক্ষে সেই দুর্দান্ত জয়ের পর মাঝের ১৩ লিগ ম্যাচে মাত্র দুটিতে জেতা ভালেন্সিয়া বিরতির আগে ছিল পুরোপুরি বিবর্ণ। এ সময়ে গোলের উদ্দেশে কোনো শটই নিতে পারেনি তারা।
৬১তম প্রতি-আক্রমণে জালে বল পাঠান ফেরলঁদ মঁদি। তবে ভিএআরে সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। বাকি সময়ে আর তেমন উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি রিয়াল। অবশ্য প্রতিপক্ষকেও দেয়নি প্রভাব বিস্তার করতে।
লিগ টেবিলে আরও একবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে গেলেও শিরোপা লড়াইয়ে কিন্তু আগের মতোই বেশ পিছিয়ে রিয়াল। দুই ম্যাচ কম খেলে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো মাদ্রিদ।