বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার ২-১ গোলে জেতা সাইফ স্পোর্টিং সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে। দ্বিতীয় স্থানে ফেরার সুযোগ হারানো শেখ রাসেল আট ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে থাকল চতুর্থ স্থানেই।
২০তম মিনিটে ডি-বক্সের একটু উপর থেকে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর বাঁ পায়ের জোরালো শটে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। বলের লাইনে গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম ঝাঁপিয়ে পড়লেও শেষ রক্ষা হয়নি। বল তার গ্লাভস গলে জালে জড়ায়।
৫৭তম মিনিটে সমতার স্বস্তি ফিরে সাইফ স্পোর্টিংয়ের তাঁবুতে। ইয়াসিন খানের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসার পর রিয়াদুল হাসান রাফি ডাইভিং হেডে লক্ষ্যভেদ করেন।
গুছিয়ে ওঠা সাইফের এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ নষ্ট হয় ৬৯তম মিনিটে। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা জন ওকোলির কাট ব্যাক এক ডিফেন্ডার ফেরানোর পর ডি-বক্সের ভেতর থেকে রাফির শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ডিফেন্ডার হাবিবুর রহমান নোলক।
৭৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। ইয়াসিনের ক্রস গ্রিপে নিতে গিয়ে তালগোল পাকান আশরাফুল ইসলাম রানা। বল তার গ্লাভস গলে বেরিয়ে যায়। নিখুঁত টোকায় জাল খুঁজে নেন পাশেই থাকা উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার সিরোজুদ্দিন রাখমাতুল্লায়েভ।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন সাইফের ইকেচুকে কেনেথ। সিরাজুদ্দিনের পাস ধরে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। দেখেশুনে শট নেওয়ার জন্য পেয়েছিলেন যথেষ্ট সময়ও। কিন্তু রানার গায়ে মেরে বসেন। একটু পর রানা ফেরান ওকোলির আরেকটি প্রচেষ্টা।
দিনের অন্য ম্যাচে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। আট ম্যাচে সাত জয় ও এক ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা শেখ জামাল।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। আট ম্যাচে পাঁচ জয় ও তিন ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা।