মেলবোর্নে বৃহস্পতিবার এস্তোনিয়ার ৩৫ বছর বয়সী কাইয়া কানেপির বিপক্ষে মাত্র ৬৪ মিনিটে ৬-৩, ৬-২ গেমে হেরে যান ২২ বছর বয়সী কেনিন।
পুরো ম্যাচে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন তিনি। করেন ২২টি আনফোর্সড এরোর এবং সাতবার ব্রেক পয়েন্ট নেওয়ার সুযোগ পেয়ে একবারও কাজে লাগাতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের এই তারকা!
ম্যাচ শেষে চতুর্থ বাছাই কেনিন বলেন, শিরোপাধারী হওয়ায় প্রচণ্ড চাপ অনুভব করছিলেন তিনি।
“মনে হচ্ছিল আমি আমার ছন্দ খুঁজে পাচ্ছি না। খুব নার্ভাস ছিলাম। আমার ধারণা, বাইরের সবকিছুর জন্য এই চাপ।”
“যেন সবাই আমাকে সবসময় জিজ্ঞেস করছে, ‘তুমি কী আবারও শিরোপা জিততে চাও? নিজেকে কী আবারও বিজয়ী হিসেবে দেখছো? অবশ্যই আমি হ্যাঁ বলেছি’।”
ছিটকে পড়ার হতাশা থাকলেও এই হার থেকে কঠিন বাস্তব শিক্ষাও পেয়েছেন কেনিন। বুঝতে পারছেন, শীর্ষ পর্যায়ে খেলতে হলে কতটা পরিণত হতে হয়।
“সত্যিই আমি চাপ সামলাতে পারছিলাম না। আমি এতে অভ্যস্ত নই।”
মেয়েদের এককে পরের রাউন্ডে উঠেছেন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি বার্টি। স্বদেশি দারিয়া গ্যাব্রিলোভাকে ৬-১, ৭-৬ (৯-৭) গেমে হারান তিনি।
পুরুষ এককে সহজ জয়ে তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন রেকর্ড ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের লক্ষ্যে থাকা রাফায়েল নাদাল। আমেরিকার মাইকেল এমমোহকে ৬-১, ৬-৪, ৬-২ গেমে হারান বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা এই স্প্যানিয়ার্ড। পরের রাউন্ডে তার প্রতিপক্ষ ব্রিটেনের ক্যামেরন নরি।
ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছেন পঞ্চম বাছাই স্তেফানোস সিৎসিপাস। ওয়াইল্ড কার্ডে সুযোগ পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার থানাসিকে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে ৬-৭ (৫-৭), ৬-৪, ৬-১, ৬-৭ (৫-৭), ৬-৪ গেমে হারান ২০১৯ সালের এটিপি ট্যুর ফাইনালস জয়ী এই গ্রিক।
তৃতীয় রাউন্ডে আরও উঠেছেন রাশিয়ার সপ্তম বাছাই আন্দ্রি রুভলেভ।