প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ২-০ গোলে হেরেছে বার্সেলোনা। জুল কুঁদির নৈপুণ্যে সেভিয়া এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ দিকে দ্বিতীয় গোলটি করেন ইভান রাকিতিচ।
কিছুটা ঢিমেতালে শুরু ম্যাচের একাদশ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। অঁতোয়ান গ্রিজমানের রক্ষণের ওপর দিয়ে বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ছয় গজ বক্সের বাইরে পেয়ে বাঁ পায়ের শট নেন আর্জেন্টাইন তারকা। দারুণ নৈপুণ্যে পা বাড়িয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক বোনো।
আট মিনিট পর প্রথম সুযোগ পায় সেভিয়া। তবে কুঁদির কোনাকুনি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৫তম মিনিটে ফরাসি এই ডিফেন্ডারের গোলেই এগিয়ে যায় সব প্রতিযোগিতা মিলে আগের সাত ম্যাচে জয়ী দলটি। সামুয়েল উমতিতিকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান কুঁদি।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে বল পায়ে অনেকখানি এগিয়ে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন মেসি। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান বোনো।
৮৫তম মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান বাড়ান রাকিতিচ। মাঝমাঠের আগে থেকে অলিভের তরেসের উঁচু করে বাড়ানো থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন গত সেপ্টেম্বরে বার্সেলোনা থেকে সেভিয়ায় ফেরা ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।
সাবেক দলের বিপক্ষে গোল উদযাপন করেননি রাকিতিচ।
সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ছয় জয়ের পর হারের স্বাদ পেল বার্সেলোনা। হারের হতাশা থাকলেও ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা এখনও আছে তাদের। আগামী ৩ মার্চ ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে খেলবে কুমানের দল।