লা লিগায় প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার প্রথমে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-২ গোলের নাটকীয় জয় পায় কুমানের দল।
শুরুর একাদশে কোচ রাখেননি মেসি, ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও পেদ্রিকে। মাঠের ফুটবলে পড়ে এর প্রভাব। প্রথমার্ধে ইগলেসিয়াসের গোলে পিছিয়ে ছিল কাতালান দলটি।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে ডিফেন্ডার রোনালদ আরাহো চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে তার জায়গায় নামেন মিডফিল্ডার ডি ইয়ং, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নামেন আরেক মিডফিল্ডার পেদ্রি। আর ৫৭তম মিনিটে মেসি নেমে বদলে দেন ম্যাচের গতিপথ।
মাঠে নামার দ্বিতীয় মিনিটেই স্কোরবার্ডে সমতা আনেন বার্সেলোনা অধিনায়ক। খানিক পর দলটির এগিয়ে যাওয়া গোলেও ছিল আর্জেন্টাইন তারকার ভূমিকা। পরে ভিক্তর রুইসের গোলে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়লেও ৮৬তম মিনিটে ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাওয়ের লক্ষ্যভেদে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাম্প নউয়ের দল।
ম্যাচ শেষে মূল খেলোয়াড়দের একাদশের বাইরে রাখার কারণ জানান কুমান।
“খেলোয়াড়রা ক্লান্ত ছিল বলেই একাদশে বদল এনেছিলাম। এই বছর আমরা ১১টা ম্যাচ খেলেছি, এর মধ্যে ১০টিই প্রতিপক্ষের মাঠে এবং রাতের ম্যাচে। আমরা কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালে উঠেছি, প্রতিপক্ষ সেভিয়া খুব ভালো দল। দলে চোট পাওয়া খেলোয়াড়দের সংখ্যা যেন আর না বাড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে আমাদের খেলোয়াড়দের সুরক্ষা দিতে হবে।”
“শিরোপা জয়ের এটাই দ্রুত রাস্তা, আমাদের কাছে যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে বার্সেলোনার অবশ্যই সব প্রতিযোগিতায় সব ম্যাচ জেতার মানসিকতা থাকতে হবে।”
অভিজ্ঞ মেসির সঙ্গে আলোচনা করেই তাকে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছিল বলে জানান ডাচ কোচ।
“লিওর বিশ্রাম নিয়ে আমি তার সঙ্গে গতকাল কথা বলেছিলাম। আমরা একমতে পৌঁছেছিলাম যে দরকার পড়লে সে নামবে। সে নামল এবং ম্যাচের গতিপথ বদলে দিল। আমাদের খেলায় সে প্রাণ এনেছিল।”
“মেসিকে নিয়ে বার্সেলোনা আরও ভালো দল। সে খুবই কার্যকর এবং অনেক বছর ধরে সে তা প্রমাণ করে আসছে। এই দলে সে খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়।”
চলতি লিগে এর আগে একবারই বেঞ্চ থেকে মাঠে নামেন মেসি, গত নভেম্বরে ঘরের মাঠে বেতিসের বিপক্ষেই। প্রথমার্ধ ১-১ সমতায় থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে দলের ৫-২ ব্যবধানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।