বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগে ৪-১ গোলে জিতেছে আবাহনী। ছয় ম্যাচে চার জয় ও দুই ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মারিও লেমোসের দল।
দিনের অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১-০ ব্যবধানে হারানো বসুন্ধরা কিংস টানা ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র তৃতীয় ও ১২ পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
গত দুই রাউন্ডে ড্র করে আসা আবাহনী এগিয়ে যায় পঞ্চদশ মিনিটে। রাফায়েল অগাস্তো সান্তোস দি সিলভার হেড পাসে গোলমুখ থেকে শট নিয়েছিলেন ফ্রান্সিসকো রদ্রিগেজ দি সৌজা ফিলহো। দারুণ দক্ষতায় তা ফেরান গোলরক্ষক। তবে বল চলে যায় ডান দিকে থাকা জুয়েল রানার পায়ে। তার কাট ব্যাকে সাইঘানির শট কাছের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।
২৫তম মিনিটে রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো ইনে গোলমুখে বল পেলেও তালগোল পাকিয়ে শট নিতে পারেননি মিডফিল্ডার জুয়েল। নষ্ট হয় আবাহনীর ব্যবধান দ্বিগুণের সুবর্ণ সুযোগ।
চার মিনিট পর ডি-বক্সে জটলার ভেতর থেকে ক্রিস্টিয়ান বেকামেঙ্গের শট ফেরান শহীদুল আলম সোহেল। ৩২তম মিনিটে ইউনুসা কামারার হেড শহীদুল ঝাঁপিয়ে আটকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হতাশা আরও বাড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে রায়হানের থ্রো ইনে সাইঘানির হেড জাল খুঁজে পেলে আবাহনী ছুটতে থাকে বড় জয়ের পথে।
৬৬তম মিনিটে বেকামেঙ্গের হেড ক্রসবারে লেগে ফেরার পর সারোয়ার জাহান নিপু ফিরতি হেডে লক্ষ্যভেদ করেন। আগের দুই ম্যাচ হেরে আসা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পায় ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ।
১০ মিনিটে পর ডান দিক থেকে রাফায়েলের ক্রসে প্রিতমের গ্লাভস হয়ে বল চলে যায় দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা দীপক রায়ের পায়ে। দারুণ ভলিতে স্কোরলাইন ৪-১ করেন এই মিডফিল্ডার।
পাঁচ ম্যাচে চতুর্থ হারের তেতো স্বাদ পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার পয়েন্ট ৩।
একই দিন টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে উত্তর বারিধারা ও মোহামেডানের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়। ছয় ম্যাচে এক জয় তিন ড্রয়ে ৬ পয়েন্ট মোহামেডানের। পাঁচ ম্যাচে উত্তর বারিধারার পয়েন্ট ২।