মেসি-গ্রিজমানের গোলে দুইয়ে বার্সা

আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমভাগে দেখা মিলল দাপুটে বার্সেলোনার। পথ দেখালো লিওনেল মেসির অসাধারণ ফ্রি কিক। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কিছুটা ছন্দপতন হলেও আবারও ঘুরে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিল রোনাল্ড কুমানের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2021, 09:53 PM
Updated : 31 Jan 2021, 10:09 PM

কাম্প নউয়ে রোববার রাতে লিগ ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জর্দি আলবার আত্মঘাতী গোলে আশা জাগে বিলবাওয়ের। তবে অঁতোয়ান গ্রিজমানের লক্ষ্যভেদে জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের।

লা লিগায় এই নিয়ে টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত রইলো তারা, জিতল টানা পাঁচটি। দারুণ এই পথচলায় পয়েন্ট টেবিলে রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে বার্সেলোনা। ২০টি করে ম্যাচ খেলা দুই দলের পয়েন্ট ৪০ করে।

২৬ দিনের মধ্যে তৃতীয়বার দেখা হলো এই দুই দলের। এ মাসের শুরুতে লিগে বিলবাওয়ের মাঠে ৩-২ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা। আর দুই সপ্তাহ আগে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে তাদেরকে একই ব্যবধানে হারায় বিলবাও।

সুপার কাপের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবার আর দেখাতে পারেনি বিলবাও। বার্সেলোনার টানা আক্রমণে প্রথমার্ধে কোণঠাসা হয়ে থাকা দলটি বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। অঁতোয়ান গ্রিজমানের রক্ষণচেরা পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বার্সেলোনা অধিনায়ক। তার কোনাকুনি শট হাত বাড়িয়ে ঠেকান গোলরক্ষক উনাই সিমোন। 

চতুদর্শ মিনিটে দুর্দান্ত একটি গোল পেতে পারতেন মেসি। ডি-বক্সের বাইরে ঠিকমতো ভলি করতে পারেননি মিরালেম পিয়ানিচ, ছয় গজ বক্সের মুখে মেসি বল এমনভাবে পেয়েছিলেন যে হেড বা শট নেওয়ার অবস্থা ছিল না। দারুণভাবে বুক দিয়ে বলের গতিপথ পাল্টে দেন আর্জেন্টাইন তারকা, বল চলে যায় ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে।

মেসি ও বার্সেলোনার অপেক্ষা শেষ হয় ২০তম মিনিটে। তার চমৎকার ফ্রি কিকে বল রক্ষণপ্রাচীরের ওপর দিয়ে বাঁক খেয়ে পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেয়। আসরে মেসির এটি দ্বাদশ গোল।

মাঝমাঠের পাশাপাশি আক্রমণেও সাম্প্রতিক সময়ে আলো ছড়ানো ফ্রেংকি ডি ইয়ং বিরতির ঠিক আগে বাঁ দিক দিয়ে দারুণ একটি আক্রমণ গড়ে তোলে। তার পাস ধরে মেসি বল বাড়ান ডান দিকে ফাঁকায় দেম্বেলেকে। উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। কিন্তু মেসির পাস পেয়ে গ্রিজমানের শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে সমতায় ফেরে বিলবাও।

বাঁ দিক থেকে রাউল গার্সিয়ার ক্রস ঠেকাতে জর্দি আলবার বাড়ানো পায়ে লেগে বল চলে যায় জালে। সঙ্গে লেগে থাকা দে মার্কোসের ফাউলের শিকার হয়েছেন বলে জোরালো দাবি তোলেন আলবা, ভিএআর দেখে উল্টো তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।  

৫৮তম মিনিটে পিয়ানিচের হেড দারুণ নৈপুণ্যে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান সিমোন।

দারুণ পাসিং ফুটবলে সাজানো আক্রমণে ৭৪তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। দেম্বেলের পাস ধরে মিনগেসা ডান দিক থেকে বাড়ান ছয় গজ বক্সের মুখে। ঠান্ডা মাথায় নিখুঁত টোকায় গোলটি করেন গ্রিজমান।

এ বছরে লিগে এটিই ঘরের মাঠে বার্সেলোনার প্রথম ম্যাচ। টানা পাঁচটি অ্যাওয়ে ম্যাচে জেতার পর চেনা আঙিনায় চেনা রূপে ধরা দিল দলটি।

দিনের আরেক ম্যাচে লুইস সুয়ারেসের জোড়া গোলে কাদিসের মাঠে ৪-২ ব্যবধানে জিতে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ১৯ ম্যাচে ১৬ জয় ও দুই ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৫০।